শিগগিরই পর্যটকদের জন্য ভারতীয় ভিসা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
বুধবার সকালে এয়ার বাবলের আওতায় চেন্নাই ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট শুরুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত এয়ার বাবল চুক্তির আওতায় পর্যটক ছাড়া অন্য সব শ্রেণিতে যাত্রী পরিবহন শুরু হয়েছে। এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস বুধবার থেকে ঢাকা-চেন্নাই-ঢাকা, চট্টগ্রাম-চেন্নাই-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে নির্ধারিত ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, মহামারির কারণে ভিসা কড়াকাড়ি করা হয়েছিল। ভারতীয় ভিসা সেবা সর্বোচ্চ পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে। বাংলাদেশ থেকে যারা ভারত যেতে আগ্রহী, তারা যাতে যেতে পারেন সেই চেষ্টা করছি। আমরা শিগগির পর্যটন ভিসা চালু করতে যাচ্ছি। এ মুহূর্তে পর্যটন ছাড়া অন্য সব শ্রেণিতে ভারতীয় ভিসা চালু রয়েছে।
পর্যটন ভিসা কবে থেকে চালু হবে জানতে চাইলে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, এ মুহূর্তে ভিসার যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। আশা করছি পর্যটন ভিসা দ্রুত চালু হবে। নির্দিষ্ট কোনো সময়ের কথা বলতে পারছি না।
প্রতিদিন গড়ে কত ভারতীয় ভিসা দেয়া হয়, এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন থেকে গড়ে সাত থেকে ১০ হাজার ভিসা দেয়া হতো। করোনাভাইরাসের সময়ে তা এক হাজারে নেমে এসেছে। পুরোদমে ভিসা সেবা দিতে ভারতীয় হাইকমিশন তৈরি রয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান।