ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত প্রথম মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার (২৮ নভেম্বর)। তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বাণী দিয়েছেন। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় আজিমপুর কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত ও মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হইবে। অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ হানিফের কর্মময় জীবনকে স্মরণ করে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনসহ সকল স্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করবেন।
এছাড়া বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মিলাদ, দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মসূচি পালনে বিনীত আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবীর। ১৯৪৪ সালে ১ এপ্রিল পুরান ঢাকার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মেয়র হানিফ। আবদুল আজিজ ও মুন্নি বেগম দম্পতির ছোট ছেলে হানিফ। ঢাকার প্রখ্যাত পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি আলহাজ মাজেদ সরদার ছিলেন ঢাকার শেষ সরদার। মোহাম্মদ হানিফের বহুমুখী প্রতিভা তাকে মুগ্ধ করে। তাই ১৯৬৭ সালে মাজেদ সরদার প্রিয়কন্যা ফাতেমা খাতুনকে মোহাম্মদ হানিফের সাথে বিয়ে দেন। এই দম্পতির একজন ছেলে ও দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। ছেলে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বাবার আদর্শ ধারণ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্য পাওয়া মোহাম্মদ হানিফ ১৯৯৪ সালে ৩০ জানুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে ঢাকার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তাঙ্গনে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতা দেয়ার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পূর্বে মাথায় বিদ্ধ হওয়া স্পিন্টারের প্রতিক্রিয়ায় পরবর্তী সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর, দিবাগত রাতে ৬২ বছর বয়সে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মোহাম্মদ হানিফ।