মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ২৩ হাজরেরও বেশি বন্দির সাজা মওকুফ করেছে। শুক্রবার সাধারণ ছুটির দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমে সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং এ ঘোষণা দেন। খবর রয়টার্সের। ঘোষণায় বলা হয়, ‘শন্তি, উন্নয়ন ও শৃঙ্খলাসহ মিয়ানমার যখন একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করছে, তখন বন্দিদের নির্দিষ্টভাবে ভদ্র নাগরিক হিসেবে পরিণত করতে, জনগণকে সন্তুষ্ট করতে এবং মানবিক ও সহানুভূতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে বন্দিদের সাজা মওকুফ করা হয়েছে।’
মিয়ানমারের ২৩ হাজার ৩১৪ জন এবং বিদেশি ৫৫ বন্দির সাজা মওকুফ করা হয়েছে বলে ঘোষণায় জানানো হয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতার দখল নেয় সেনাবাহিনী। আটক করে নেত্রী সু চিকে, জারি করে এক বছরের জরুরি অবস্থা। এর পর থেকেই জান্তার বিরুদ্ধে জনরোষ বড় ধরনের বিক্ষোভে রূপ নিয়েছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রতিজ্ঞায় টানা ষষ্ঠ দিনের মতো বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ হয়েছে মিয়ানমারজুড়ে। রাজধানী নেপিদোর রাস্তায় শত শত প্রতিবাদকারী লাইন ধরে দাঁড়িয়ে জান্তাবিরোধী স্লোগান দিয়েছে, সু চির সমর্থনে লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। অভ্যুত্থান রক্তপাতহীন হলেও গণবিক্ষোভ দমনে বলপ্রয়োগ শুরু করেছে জান্তা। মঙ্গলবার এক নারী গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরও বিক্ষোভ দমেনি। ওইদিনই প্রথম বিক্ষোভে রক্ত ঝরেছে। রাজধানী নেপিদোতে সেদিন বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মিয়ানমার পুলিশ প্রথমে জলকামান এবং পরে রাবার বুলেট ব্যবহার করে