নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল আগামী সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। শনিবার সকালে বসুরহাট রূপালি চত্ত্বরে মির্জা কাদের এবং দুপুরে উপজেলার পেশকারহাট রাস্তার মাথায় বাদল পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
সকাল ৬টা থেকে মির্জা কাদের জেলার ডিসি, এসপি, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে প্রত্যাহার, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাজনীতি বন্ধের দাবীতে তার ডাকা হরতালের সমর্থনে বসুরহাট পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করে। সকাল ৭টার দিকে তার নেতৃত্বে কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে অবস্থান নেয় তার নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় হাতাহাতি। এক পর্যায়ে পুলিশ ও র্যাব লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাজারের রূপালী চত্ত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা কাদের বলেন, শুক্রবার বিকেলে প্রশাসনের সহযোগিতায় সাবেক চেয়ারম্যান বাদল তার নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে এবং গুলি করে। এতে তার অর্ধশতাধিক সমর্থক আহত হন। তিনি তার পূর্বের দাবীতে অনঢ় থেকে এসব ঘটনার বিচার দাবী করেন এবং আগামী সোমবার সকালে বসুরহাট পৌর শহরে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দেন। কর্মসূচিতে সকলকে অংশগ্রহণ করার নির্দেশও দেন। তবে এ মানববন্ধন দলীয় নয় মির্জা কাদেরের ডাকে হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি। অপর দিকে গত দুই মাসের মতো আবদুল কাদের মির্জা পুরো কোম্পানীগঞ্জকে জিম্মি করে রেখেছে এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মিজানুর রহমান বাদল। তিনি দাবী করেন, শুক্রবার বিকেলে তার শান্তিপূর্ণ মিছিলে ও তার বাড়িতে মির্জা কাদেরের লোকজন বেপরোয়া গুলি বর্ষণ করেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ তার অর্ধশতাধিক সমর্থক আহত হয়েছেন। মির্জা কাদের একের পর এক অপরাজনীতি করে যাচ্ছেন, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন বাদল। তিনি মির্জা কাদেরের এমন অপরাজনীতির বিরুদ্ধে শাস্তি দাবী করেন এবং এর প্রতিবাদে আগামী সোমবার বসুরহাটে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।