জরিমানার পরও মানুষের মাস্ক পরা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে এ বিষয়ে প্রচার কার্যক্রমের নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ পদক্ষেপের কথা জানান।
আজ সোমবার (৭ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মাঠ প্রশাসন থেকে আমাদের কাছে সাজেশন এসেছে। তারা বলছেন, জরিমানা করার পরে, জেল দেয়ার পরে মানুষের মধ্যে ওইভাবে সচেতনতা আসছে না। সেক্ষেত্রে কাউকে ফাইন করলে সে বলে- ওই যে চার-পাঁচজন মাস্ক ছাড়া যাচ্ছে ওদের ফাইন করেন। ‘সেজন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে- স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে প্রচার করতে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলে দিয়েছে বিসিসিআইসহ যারা আছে তাদের সবাইকে এনসিউর করতে তাদের আওতাধীন সবাইকে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে তাদের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে প্রচারণা করতে।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উনার অঙ্গ-সংগঠনে যারা আছে তাদের সবাইকে ক্লিয়ার ইন্সট্রাকশন দিয়েছেন, যে প্রোগ্রামেই যারা আসবেন, যত যাই করুক, প্রোগ্রামে অবশ্যই তাদের মাস্ক পরতে হবে। তারা ম্যাসিভ ক্যাম্পেইন করবে।’ খন্দকার আনোয়ারুল আরও বলেন, ‘যে ভাবসাব দেখা যাচ্ছে, যেভাবে বাড়ছে তাতে এটা আল্লাহ না করুক শীত যদি একটু বেশি পড়ে তাহলে আরও নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে। শুধু জেল-জরিমানা করলেই হবে না।’ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় প্রধানমন্ত্রী কাপড়ের মাস্ক দিতে বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাহলে ধুয়ে ব্যবহার করতে পারবে। জেলা প্রশাসনসহ মাঠ প্রশাসনের সবাইকে বলে দিয়েছি এখন থেকে তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক দিতে।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মন্ত্রিসভা বলেছে, মাস্ক যদি না পরে কোনো কিছুই সফল করা সম্ভব হবে না।’