৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ সোমবার | দুপুর ১:৩৩ মিনিট
ঋতু : শীতকাল | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

শিরোনাম :
হিজবুল্লাহর আরেক নেতাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের হদিস নেই ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ চেয়ে আইনি নোটিশ সিটি করপোরেশন পরিচালনায় কমিটি, কাউন্সিলরের দায়িত্বে থাকবেন যিনি কর্মীদের উদ্দেশে শিবির সেক্রেটারির জরুরি বার্তা ‘শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণ করা হবে, আইন ভাঙলে ব্যবস্থা’ রেমিট্যান্স নিয়ে আবারও সুখবর চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনা বাহিনীর হাতে সোনারগাঁও উপজেলা  বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আতাউর গ্রেপ্তার বন্দরে পরিবেশ দূষণের দায়ে ব্যাটারী কারখানা বন্ধের নোটিশ সড়ক যেন অপরাধীদের কবলে ! এ যেন মরন ফাঁদ!!  মদনপুর -মদনগঞ্জ সড়ক|| পুলিশী টহল বৃদ্ধির আশ্বাস ওসির… সাবেক এমপি শামীম ওসমানের স্নেহভাজনআলীর বিএনপি নেতা হওয়ার খায়েশ পূর্বাচলের অস্ত্র উদ্ধার মামলা৭ বছরেও অস্ত্রের উৎস মেলেনি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল মধুপুরের আনারস মিরপুরে নয় কানপুরেই শেষ সাকিবের ক্যারিয়ার! অভিনেতা আলাউদ্দিন লাল মারা গেছেন পঞ্চগড়ে কুকুরের কামড়ে নার্সসহ আহত ১৪ দেশ ও জাতির কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান নির্বাচন কখন হবে সেটা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত : জয়নুল ফারুক স্কুলে ভর্তিতে এ বছরও থাকছে লটারি শাসন পদ্ধতি শেখ হাসিনাকে দানব বানিয়েছে : জিএম কাদের

মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী

ncitynews24.com
প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২ | আপডেট: রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের মানুষ ভুক্তভোগী বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের যে কষ্ট হচ্ছে সেটা আমরা উপলব্ধি করতে পারছি। সেই কষ্ট লাঘবের জন্য আরও কী কী করা তার জন্য প্রতিনিয়ত আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা মানুষের কষ্টটা যে বুঝি না, তা না।

আজ রোববার (১৪ আগস্ট) গণভবনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।দেশের চলমান সংকটে বিরোধীরা আন্দোলনের সুযোগ পাচ্ছে বলে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘তারা আন্দোলন করছে। সেটা করুক আমিতো চাচ্ছি। আমি নির্দেশ দিয়েছি তারা আন্দোলন করছে, করতে দাও। খবরদার তাদের কাউকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়, বিরক্ত না করা হয়। তারা আন্দোলন করতে চায়, করুক। অসুবিধা কী? প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করবে, আমি আসতে দেব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে আন্তরিকতার সঙ্গে মানুষের জন্য কাজ করছি, সেটা দেশের মানুষ জানে ও বুঝে। হ্যাঁ নানা কথা বলবে। বিরোধী দল সুযোগ যখন পাচ্ছে, সেটা কাজে লাগাতে চেষ্টা করবে।’বিরোধী আন্দোলনের কারণে মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে বলে জানান শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, ‘এটাও তাদের বোঝা উচিত।’বিরোধী দলের আন্দোলনের সফলতা নিয়ে প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্দোলন করে তারা কতটুকু সফল হবে সেটা জানি না। কিন্তু যেটা করছে তাতে দেশের জন্য আরও ক্ষতি হবে। আমরা সেটা সামাল দিতে পারব, সেই বিশ্বাস আমার আছে।’যখনই বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমবে সরকার তাতে সমন্বয় করবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা আমার নির্দেশ রয়েছে। তা করে দিচ্ছি। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যবহার সীমিত করতে হবে। হয়তো কিছুদিন আমাদের কষ্ট করতে হবে। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো যখন চালু হলে বিদ্যুতের সমস্যা অনেকটা দুর হয়ে যাবে।’

নির্বাচনী ইশতেহার পূরণ করা হয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যেটা যেটা ওয়াদা দিয়েছি সেগুলো সম্পূর্ণ করছি। করোনাভাইরাস, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা না থাকলে দেশের কোন সমস্যা হতো না বলে জানান তিনি।তিনি বলেন, যে বিষয়গুলোতে আমরা আমদানি নির্ভর সেখানে সমস্যা দেখা দিয়েছে। নিজ নিজ জমিতে সবাইকে উৎপাদন করার অনুরোধ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের খাবারটা যেন আমরা নিজেরাই উৎপাদন করতে পারি, বাইরের দিকে তাকায় থাকতে না হয়। সেই ব্যবস্থাটাই আমাদের নিতে হবে। তিনি বলেন, রুবলের দামও বাড়ছে, ডলারের দামও বাড়ছে। সারা বিশ্বব্যাপী রুবল ও ডলার স্টক হয়ে গেছে। মরতেছে সব দেশের সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের জন্য চরম দুর্ভোগ। সব দেশের একই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা ও যুদ্ধে মানুষের জীবনে সর্বনাশটা ডেকে এনেছে।দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোরও ওপরও গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা যেতে না যেতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে স্যাংশন এবং পাল্টা স্যাংশন জনজীবনে সর্বনাশ ডেকে আনছে যার ভূক্তভোগী হচ্ছে সারা বিশ্বের সাধারণ জনগণ।’তিনি বলেন, ‘আমেরিকা স্যাংশন দিলো রাশিয়াকে শায়েস্তা করার জন্য। দেখা যাচ্ছে যে শায়েস্তা হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শুধু আমাদের দেশ বলে নয়, ইউরোপের দেশগুলো এমনকি আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া-প্রত্যেকটি মহাদেশের মানুষেরই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সব জিনিসের ওপরই এর একটা প্রভাব পড়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্যাংশন দিয়ে লাভটা কী হলো? বাস্তবিক যদি লাভ কারও হয় তাহলে সেটা আমেরিকা এবং রাশিয়ারই হয়েছে। কেননা বিশ্ববাজারে ডলার এবং রুবলের (রাশিয়ার মুদ্রা) মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে। তবে মরছে সাধারণ মানুষ।’ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেয়ে বাড়তি দর নিচ্ছে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আর আমাদের কিছু লোক তো থাকেই অপ্রয়োজনেও জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয় ঐ ছুতা ধরে। সেটাই হচ্ছে কিছু কিছু। না হলে এত দাম তো বাড়ার কথা নয় প্রত্যেকটা জিনিসের।’