সাংবাদিক ইলিয়াসকে সড়িয়ে দিলেই আমরা এই এলাকায় মাদক ও অবৈধ গ্যাসের রমরমা বানিজ্য করতে পারব হয়ত এটাই ভেবেছিলো বন্দরের জিওধরা এলাকার চিহ্নিত মাদক সম্রাট তুষার সহোদর তুর্জয় ও গ্যাস চোর খ্যাত কথিত যুবলীগ নেতা মাসুদ গং। এমনটাই দাবি করছেন তুষারে-তুর্জয়-মাসুদ গংদের ছুরিকাঘাতে নিহত দৈনিক বিজয় পত্রিকার সাংবাদিক ইলিয়াস এর পরিবার ও সহকর্মীরা। তাদের দাবি জিওধরা এলাকার মাদক ও গ্যাসচুরির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশই কাল হয়েছে তার। সন্ত্রাসী অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ঠান্ডা মাথায় ইলিয়াসকে হত্যা করে।
প্রসঙ্গত, রোববার (১১ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের জিওধারা চৌরাস্তা ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় সাংবাদিক ইলিয়াসকে৷ সে ওই এলাকার মজিবর মিয়ার ছেলে৷ স্থানীয় দৈনিক বিজয়ের নিজস্ব সংবাদদাতা হিসেবে কর্মত ছিলেন ইলিয়াস ৷
সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ওই রাতে বন্দর থানায় একটি মামলা করেন৷ মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে৷ ঘটনাস্থল থেকে আটক আসামি তুষারকে (২৮) পুলিশের কাছে সোপর্দ করে স্থানীয়রা৷ পরে অভিযান চালিয়ে মিনা (৬০) ও মিসির আলী (৫৩) নামে আরও দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ মামলায় অন্য আসামিরা হল-হাসনাত আহমেদ তুর্জয় (২৪), মাসুদ (৩৬), সাগর (২৬), পাভেল (২৫) ও হজরত আলী (৫০)। মামলার অন্য আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে জানান বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম ৷
এছাড়াও আসামীদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।