২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ রবিবার | রাত ৯:১৩ মিনিট
ঋতু : শীতকাল | ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং

শিরোনাম :
হিজবুল্লাহর আরেক নেতাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের হদিস নেই ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ চেয়ে আইনি নোটিশ সিটি করপোরেশন পরিচালনায় কমিটি, কাউন্সিলরের দায়িত্বে থাকবেন যিনি কর্মীদের উদ্দেশে শিবির সেক্রেটারির জরুরি বার্তা ‘শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণ করা হবে, আইন ভাঙলে ব্যবস্থা’ রেমিট্যান্স নিয়ে আবারও সুখবর চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনা বাহিনীর হাতে সোনারগাঁও উপজেলা  বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আতাউর গ্রেপ্তার বন্দরে পরিবেশ দূষণের দায়ে ব্যাটারী কারখানা বন্ধের নোটিশ সড়ক যেন অপরাধীদের কবলে ! এ যেন মরন ফাঁদ!!  মদনপুর -মদনগঞ্জ সড়ক|| পুলিশী টহল বৃদ্ধির আশ্বাস ওসির… সাবেক এমপি শামীম ওসমানের স্নেহভাজনআলীর বিএনপি নেতা হওয়ার খায়েশ পূর্বাচলের অস্ত্র উদ্ধার মামলা৭ বছরেও অস্ত্রের উৎস মেলেনি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল মধুপুরের আনারস মিরপুরে নয় কানপুরেই শেষ সাকিবের ক্যারিয়ার! অভিনেতা আলাউদ্দিন লাল মারা গেছেন পঞ্চগড়ে কুকুরের কামড়ে নার্সসহ আহত ১৪ দেশ ও জাতির কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান নির্বাচন কখন হবে সেটা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত : জয়নুল ফারুক স্কুলে ভর্তিতে এ বছরও থাকছে লটারি শাসন পদ্ধতি শেখ হাসিনাকে দানব বানিয়েছে : জিএম কাদের

মরছে এশিয়ার বৃহত্তম বটগাছ

ncitynews24.com
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০ | আপডেট: মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০

বৃহত্তম এ বটগাছটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহর থেকে ৯ কিলোমিটার পূর্বে কালীগঞ্জ-আড়পাড়া পাকা সড়কের পাশে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ ৩০০ বছরের পুরনো এ গাছটি দেখতে আসেন। ১১ একর জমিজুড়ে রয়েছে এর অস্তিত্ব। এর উচ্চতা আনুমানিক ২৫০ থেকে ৩০০ ফুট। বর্তমানে গাছটি ৪৫টি বটগাছে রূপ নিয়েছে।

এ গাছের উৎপত্তি সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য জানা না গেলেও এলাকার বয়োবৃদ্ধদের মুখে জানা যায়, একটি কুয়ার পাড়ে ছিল এ গাছের মূল অংশ। তখন জনবসতি ছিল খুবই কম। সড়কের পাশে এ গাছটি ছিল ডালপালা পাতায় পরিপূর্ণ। গাছের তলায় রোদ-বৃষ্টি পড়ত না। মাঘ মাসের শীতের রাতেও গাছের নিচে গরম থাকত। গ্রীষ্মে গাছের নিচে লাগত ঠাণ্ডা।

পথচারীরা গাছের তলায় শুয়ে-বসে বিশ্রাম নিতেন। বাস্তবে এ এলাকায় সুইতলা নামে কোনো স্থানের অস্তিত্ব নেই। তাই বয়োবৃদ্ধদের ধারণা, পথশ্রান্ত পথিকরা যখন এ মনোরম স্থানে শুয়ে-বসে বিশ্রাম নিতেন, তখন থেকেই অনেকের কাছে এটি সুইতলা বটগাছ বলে পরিচিতি লাভ করে। আর এর থেকেই নামকরণ হয় সুইতলা বটগাছ।

মূল গাছ এখন আর নেই। বর্তমানে প্রায় দু-তিনশ ‘ব’ নেমে প্রায় ১১ একর জমি দখল করে নিয়েছে এ বৃহত্তম গাছটি। গাছটি কেন্দ্র করে পাশেই বাংলা ১৩৬০ সালের দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মল্লিকপুরের বাজার।

বটগাছটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে ও পর্যটকদের সুবিধার্থে এখানে ১৯৯০ সালে সরকারিভাবে একটি রেস্ট হাউস নির্মাণ করা হয়। রক্ষণাবেক্ষণ না করায় রেস্ট হাউসটি এখন আর বাসযোগ্য নয়। ফলে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকদের আসাও বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে, ঐতিহাসিক এ বটগাছটি দেখভালের জন্য বাংলো বানিয়ে শাহিন কবির নামে একজনকে বনপ্রহরী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু তিনি মানুষকে অবাধ যাতায়াতের সুযোগ করে দিচ্ছেন। ফলে লোকজন গাছের ডালপালা কেটে নিয়ে যান। তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি শাহিন। তিনি বলেন, বন কর্মকর্তার নিষেধ আছে।

ডেইলি বাংলাদেশ