আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আসন্ন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কারো বিরুদ্ধে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠলে সহ্য করা হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আজ শনিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ধর্ষক ও নারী অবমাননাকারীদের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা চিরতরে বন্ধ করতে হবে। মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, চিহ্নিত অপরাধী, চাঁদাবাজ, ভূমি দখলকারী ব্যক্তিদের বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, দলের জন্য তৃণমূল থেকে ডেডিকেটেড কর্মীদের তুলে আনতে হবে। দলকে শক্তিশালী করতে হলে নিবেদিত প্রাণ কর্মীদের এগিয়ে আনতে হবে। ৭ নভেম্বরের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জেনারেল জিয়া সরাসরি বেনিফিশিয়ারি ছিলেন। বিপ্লব ও সংহতির মোড়কে সেদিন ষড়যন্ত্র করে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিলেন জেনারেল জিয়া। মুক্তিযুদ্ধের মহান অর্জন ও চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করতে এবং দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে অনেক ঘটনাই ঘটেছিল। যার মধ্যে অনেক কিছুই এখনো ইতিহাসের আড়ালে রয়ে গেছে। ইতিহাসের এসব অজানা তথ্য তদন্তের মাধ্যমে বের করে আনা এখন সময়ের দাবি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের শিকড় এ দেশের মাটির অনেক গভীরে, দেশের জনগণই আওয়ামী লীগের অস্তিত্বের শিকড়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার কারণে বিএনপি এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। বিএনপির রাজনীতি এখন লাইফ সাপোর্টে আছে, আওয়ামী লীগের নয়। মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহেদ মালেক এবং সংসদ সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয়, মমতাজ বেগম ও মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম।