মদনগঞ্জ ইউনিয়ন ভুমি অফিস ঘেঁষেই ড্রেজার ব্যবসায়ীদের পাইব, রহস্যজনক কারণে ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন!
বন্দর প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ বন্দরে মদনগঞ্জ ইউনিয়ন ভুমি অফিসের দেয়াল ঘেঁষেই ড্রেজার পাইব বসিয়েছে অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা। তবে প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব পাইপ অনুমোদন ছাড়া বসালেও রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডে অবস্থিত মদনগঞ্জ ইউনিয়ন ভুমি অফিস। এর পাশেই ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদের বাসা। সেখানে দেখা যায় মদনগঞ্জ ইউনিয়ন ভুমি অফিসের দেয়াল ঘেঁষে ড্রেজার পাইব বসিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতা খোকন মৃর্ধা ফরাজীকান্দা এলাকার আহসান মিয়ার ছেলে খোকন ও ঢালি বাড়ির এলাকার পুলিশের সোর্স আজহার। এসব পাইব মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে দিয়ে মাধবপাশা বিলের ফসলী জমি ভরাট করার জন্য পাইব নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, একই জায়গা ভরাটের জন্য বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে মদনগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড- ফরাজীকান্দার প্রধান সড়কের উপর দিয়ে আরেকটি ড্রেজার পাইব বসিয়েছে। জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডে ফরাজীকান্দায় মাধবপাশা বিলে ফসলী জমি বালু দিয়ে ভরাটের জন্য আওয়ামীলী, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীরা ড্রেজার নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এরই মাঝে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অথচ বন্দর উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসন রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা না নেওয়াতে জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অপর দিকে, তিন দলীয় ড্রেজার ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি সমঝোতার বৈঠক হয় ফরাজীকান্দা বাসস্ট্যান্ডে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিমউদ্দিনের অফিসে। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু। কিন্তু একদিন পরই আবারও দেখা দিয়েছে তাদের মধ্যে বিরোধ। তবে ড্রেজার ব্যবসা নিয়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা না হওয়ায় পর্যন্ত এ সংঘর্ষ বন্ধ হবে না বলে মনে করছে স্থানীয়রা। জানতে চাইল বন্দর উপজেলা সহকারি কমিশনার( ভুমি) আসমা সুলতানা নাসরিন এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি এখন ব্যস্ত আছি, সামনে ডিসি সাহেব আছে। আপনাকে পরে ফোন দিবো বলে।