৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ সোমবার | সন্ধ্যা ৭:৫৫ মিনিট
ঋতু : শীতকাল | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

শিরোনাম :
হিজবুল্লাহর আরেক নেতাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের হদিস নেই ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ চেয়ে আইনি নোটিশ সিটি করপোরেশন পরিচালনায় কমিটি, কাউন্সিলরের দায়িত্বে থাকবেন যিনি কর্মীদের উদ্দেশে শিবির সেক্রেটারির জরুরি বার্তা ‘শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণ করা হবে, আইন ভাঙলে ব্যবস্থা’ রেমিট্যান্স নিয়ে আবারও সুখবর চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনা বাহিনীর হাতে সোনারগাঁও উপজেলা  বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আতাউর গ্রেপ্তার বন্দরে পরিবেশ দূষণের দায়ে ব্যাটারী কারখানা বন্ধের নোটিশ সড়ক যেন অপরাধীদের কবলে ! এ যেন মরন ফাঁদ!!  মদনপুর -মদনগঞ্জ সড়ক|| পুলিশী টহল বৃদ্ধির আশ্বাস ওসির… সাবেক এমপি শামীম ওসমানের স্নেহভাজনআলীর বিএনপি নেতা হওয়ার খায়েশ পূর্বাচলের অস্ত্র উদ্ধার মামলা৭ বছরেও অস্ত্রের উৎস মেলেনি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল মধুপুরের আনারস মিরপুরে নয় কানপুরেই শেষ সাকিবের ক্যারিয়ার! অভিনেতা আলাউদ্দিন লাল মারা গেছেন পঞ্চগড়ে কুকুরের কামড়ে নার্সসহ আহত ১৪ দেশ ও জাতির কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান নির্বাচন কখন হবে সেটা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত : জয়নুল ফারুক স্কুলে ভর্তিতে এ বছরও থাকছে লটারি শাসন পদ্ধতি শেখ হাসিনাকে দানব বানিয়েছে : জিএম কাদের

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ২০ হাজার টাকা ঘোষণা

ncitynews24.com
প্রকাশিত: সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | আপডেট: সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন যারা মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা ১২ হাজার, ১৫ হাজার টাকা করে পান আগামীতে তারা সবাই ২০ হাজার টাকা করে পাবেন বলে তিনি ঘোষণা দেন। আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে (জিটুপি) প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। তিনি বলেন, জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মুক্তিযোদ্ধাদের হারানো সম্মান জাতির কাছে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেয়। শেখ হাসিনা বলেন, সেই ভাতা যখন আমরা চালু করি, তখনকার সময়ের প্রেক্ষিতে আমরা মাসিক ৩০০ টাকায় শুরু করেছিলাম, আজকে তা ১২ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। তবে আমি মনে করি, এ সময়ে ১২ হাজার টাকা কিছুই না। আমি ইতোমধ্যে আমাদের কল্যাণ ট্রাস্ট বোর্ডের মিটিং ছিল। এতগুলো ভাগ ভাগ না করে আমি বলেছি, এটা আমার মনে হয় আমাদের মাননীয় মন্ত্রীও ব্যবস্থা নেবেন বা আমরা আমাদের তরফ থেকে নেব। আমরা নিচের যে কয়টা স্লট আছে, সেগুলো এক জায়গায় নিয়ে এসে ২০ হাজার টাকা করেই মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করব।’ তবে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সময় লাগবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারণ বাজেটে সব কিছু ব্যবস্থা করতে একটু সময় লাগবে। তবে এটা আমরা করে দেব।’ তিনি জানান, এখন শহীদ পরিবার মাসে ৩০ হাজার টাকা করে, যুদ্ধাহত পরিবার ২৫ হাজার করে, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদের পরিবার ৩৫ হাজার টাকা করে, বীরউত্তম খেতাবধারীরা ৩০ হাজার টাকা করে, বীরবিক্রম খেতাবধারীরা ২০ হাজার টাকা করে এবং বীরপ্রতীক খেতাবধারীরা ১৫ হাজার টাকা করে ভাতা পান। এই ভাগগুলো না রাখার পরিকল্পনা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হয়ত যারা বীরশ্রেষ্ঠ তাদেরটা একটু আলাদা থাকবে বা বীরউত্তম তাদের আলাদা আছে। কিন্তু আমি মনে করি বাকি সবাইকে এক সাথে দেওয়াটা ভালো। কারণ সবাই তো মুক্তিযুদ্ধই করেছে।’ একজন মুক্তিযোদ্ধাও গৃহহীন থাকবেন না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আগেও বলেছি, একজন মুক্তিযোদ্ধাও গৃহহীন থাকবেন না, একজন মানুষও গৃহহারা থাকবে না। কাজেই আমরা সে ব্যবস্থা নিচ্ছি যে, মুজিববর্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ, যারা ভূমিহীন-গৃহহীন, তাদের যেমন ঘর দেব, তেমনি মুক্তিযোদ্ধাদেরও যাদের জীর্ণ-শীর্ণ ঘর, তাদের ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। তারা সুন্দরভাবে বাঁচুন, সেটিই আমরা চাই। তাদের পরিবারও ভবিষ্যতে ভালো থাকবে, সেটিই আমরা চাই। এ সময় বিত্তবানদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন না করলে বিত্তশালী হতে পারতেন না। মুক্তিযোদ্ধাদের ভালো রাখার জন্য অন্তত আপনারা তাদের পাশে দাঁড়ান। আমিও সরকারিভাবে আমার করণীয় যেটা করছি, করব। তিনি বলেন, আজকে আমরা বিজয়ী জাতি হিসেবে সারাবিশ্বে সম্মান অর্জন করেছি। মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করেছি। এ জন্য আমাদের অনেক নেতাকর্মীর জীবন বিসর্জন দিতে হয়েছে৷ আমি তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতাটা আর কারও হাত থেকে নিতে হবে না। এটি তাদের হাতে যেন সরাসরি পৌঁছে যায়, সেই ব্যবস্থাটাই আমরা নিচ্ছি। আমি খুবই আনন্দিত। আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশে এ ইলেকট্রনিক পদ্ধতি অর্থাৎ ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে এ ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে পারছি। শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর পর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্যাৎ করা হয়। দেশের মানুষের আকাক্সক্ষা অপূর্ণ থেকে যায়। সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়। তিনি বলেন, আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি। এদিন সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে ভোট করে খালেদা জিয়া। ২ শতাংশ ভোটও পড়েনি কিন্তু তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করে বসেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। যদিও গণ আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভোট দিতে বাধ্য হয়। এতে অনেক মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। আমাদের দলের অনেক নেতাকর্মীরও জীবন দিতে হয়েছে। সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর আলোকিত হবে। প্রতিটি মানুষ উন্নত জীবন পাবে, এটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতির পিতার যে স্বপ্ন, ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলা- আমরা সেই স্বপ্নই বাস্তবায়ন করতে চাই, লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত এই বাংলাদেশ হবে বিশ্বে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। এ সময় কুড়িগ্রাম, গাজীপুর, মৌলভীবাজার, খুলনা, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলার উপজেলা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।