আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির রাজনীতি এখন জনমানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন। তারা গণতন্ত্রের কথা মুখে যতই বলুক বিএনপিই গণতন্ত্রের এগিয়ে যাওয়ার পথকে বাধাগ্রস্ত করছে নানা কৌশলে। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তার নিজ দপ্তরে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের কেউ কেউ বক্তব্য প্রদানের নামে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। রাজশাহীতে তাদের একনেতা আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর হুমকি দিয়েছেন। বিএনপির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল এ বক্তব্য দলীয় বক্তব্য কিনা? কিন্তু বিএনপি নেতারা জবাব না দিয়ে মৌনতা অবলম্বন করে প্রকারান্তরে দলীয় সমর্থনের বিষয়টিই স্পষ্ট করছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যার হুমকি বিএনপির ফ্যাসিবাদি রাজনৈতিক চরিত্রেরই বহিঃপ্রকাশ। এ হুমকি আবারও তাদের হত্যা ও খুনের রাজনীতির পরিচয়কে স্পষ্ট করেছে এবং স্পষ্ট করেছে ১৫ ও ২১ আগস্ট হত্যাকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতা। এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। সাক্ষাত শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। বৈঠকে ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও কথা হয় বলে জানান মন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের কৃত্রিম দেয়াল রচিত হয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দীর্ঘসময় পর শেখ হাসিনা সরকার প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর সম্পর্কের নতুন সেতুবন্ধ রচিত হয়। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের সীমান্ত চুক্তিসহ ছিটমহল বিনিময় ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বন্টনে ইতোমধ্যে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নরেন্দ্র মোদি বিজেপি নেতা হিসেবে নন, তিনি বাংলাদেশ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা দানকারী প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া আনন্দিত বলে মনে করেন। নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের সাফল্য কামনা করেন তিনি।