আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে থাকলে কর্মীরা আন্দোলন করবে কীভাবে? বিএনপির আন্দোলনের ডাক আষাঢ়ের তর্জন গর্জনই সার। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তার নিজ দফতরে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে এ কথা তিনি।
খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নতুন করে আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ১০ বছর ধরে আন্দোলনের হাঁকডাক শুনছি। দেশের জণগণ তাদের আন্দোলনের সক্ষমতাও ইতোমধ্যে দেখে ফেলেছে। বাস্তবে ৫০০ লোক নিয়ে রাজপথে একটি মিছিলও এ পর্যন্ত বেগম জিয়ার জন্য করতে পারেনি। এ ব্যর্থতা ঢাকবে কী করে? তিনি বলেন, দেশে এ মুহূর্তে আন্দোলনের বস্তুগত কোনো পরিস্থিতি বিরাজমান নেই। বিএনপির সাবজেক্টিভ কোনও প্রিপারেশন নেই। ক্ষমতার পালাবদল চাইলে অন্য কোনো অলিগলি পথ না খুঁজে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন। খালেদা জিয়ার জামিন বিএনপি আন্দোলনের ফসল নয়, শেখ হাসিনার মহানুভবতা- উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিকতা প্রদর্শন করে বেগম জিয়ার বয়সজনিত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রথেমে ছয় মাস, পরে আরও ছয় মাস জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন। তাই বলে এটি বিএনপির আন্দোলনের ফসল নয়। এটি শেখ হাসিনার মহানুভবতা ও মানবিকতার উদাহরণ। ওবায়দুল কাদের করোনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিশেষজ্ঞের মতে আসন্ন শীতে সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ আঘাত হানতে পারে। তাই সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’ তিনি বলেন, এরই মাঝে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্বিতীয় তরঙ্গ আঘাত এনেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও প্রতিদিন নব্বই হাজার থেকে এক লাখ রোগী শনাক্ত হচ্ছে। তাই এ প্রেক্ষাপটে কোনোভাবেই হেলাফেলার সুযোগ নেই। সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবন ও জীবিকার চাকা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সামান্য অবহেলা আমাদের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।