অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা ২৫ জানুয়ারি মধ্যে বাংলাদেশে আসছে। বাংলাদেশ সরকার টিকা প্রয়োগের সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের কাছে কত দামে টিকা বিক্রি করবে তা এখন পর্যন্ত ধোঁয়াশা ছিল। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বাংলাদেশে মাত্র ৪ মার্কিন ডলারে কোভিড-১৯ এর টিকার প্রতিটি ডোজ বিক্রি করবে সেরাম ইনস্টিটিউট। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় প্রায় ৩৪০ টাকা। অর্থাৎ ভারতকে যে মূল্যে সেরাম টিকা সরবরাহ করছে তার চেয়ে বাংলাদেশ পাবে প্রায় দেড়গুণ বেশি দামে।
আবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, গড়ে সম্ভবত ৩ মার্কিন ডলার দামে বাংলাদেশ সরকার টিকা পেতে পারে। যদিও এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য পারেনি। তবে সেরাম বা বাংলাদেশ সরকার কোনও পক্ষই এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে টিকার দাম সম্পর্কে কিছু জানায়নি। ৪ মার্কিন ডলারে অক্সফোর্ডের কোভিড ভ্যাকসিন কিনতে হলে ভারতের তুলনায় প্রায় ৪৭ শতাংশ বেশি খরচ করতে হবে বাংলাদেশকে। কারণ ১১ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিনের বিক্রির জন্য ভারত সরকারের সঙ্গে সেরাম ইতিমধ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। প্রতি ডোজের জন্য সরকারের থেকে ২০০ টাকা নিচ্ছে তারা। মার্কিন মুদ্রায় যা দাঁড়ায় ২.৭২ মার্কিন ডলার। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে শুরু হচ্ছে করোনার টিকাদান কার্যক্রম। এরপরেই এই টিকা বাংলাদেশে আসবে। এর ফলে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ যেতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে সেরামের কোভিশিল্ড টিকা বাংলাদেশে পৌঁছাবে। টিকা আসার এক সপ্তাহের মধ্যে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথম ধাপে ৫০ লাখ মানুষ টিকা পাবেন। বাংলাদেশকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ৬ মাসে মোট ৩ কোটি ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে সেরাম।