বিশেষ প্রতিবেদক
নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দরে মসজিদ কমিটি গঠন নিয়ে এবার ৩ জনপ্রতিনিধি দন্দ শুরু হয়েছে। আল্লাহ’র ঘর মসজিদ পরিচালনা কমিটির বিষয়ে দেখা দিয়েছে বিশাল উত্তেজনা। কি এমন মধু মসজিদ কমিটির মধ্যে। মধু হল এলাকায় নিজেকে বিশাল মাপের ক্ষমতাধর বা প্রভাবশালী জাহির করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে হাজী আলাউদ্দিনরা। পরস্পরকে খুনি, ভূমিদস্যু ও নাশকতাকারী উল্লেখ করে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন নারায়ণগঞ্জের বন্দরের তিন জনপ্রতিনিধি। একদিকে আছেন মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামরুজ্জামান বাবুল অন্যদিকে জেলা পরিষদের ৩ নং সদস্য হাজী আলাউদ্দিন। পরস্পরকে আক্রমণ করে দেয়া বক্তব্যকে ঘিরে জনগণের মধ্যে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। তিনজনের বিরুদ্ধেই অনুসন্ধানের দাবি উঠেছে। তিন জনপ্রতিনিধির পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে খুন, ভূমিদস্যুতার অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন অনেকে।তাদের মতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গভীর তদন্ত করলে জানা যাবে পরস্পরকে নাশকতাকারী, খুনি, ভূমিদস্যু ও টেন্ডারবাজ উল্লেখ করার সত্যতা ও রহস্য। তবে তিনজনের বিরুদ্ধেই একাধিক অভিযোগ ও মামলা রয়েছে থানায় সরজমিন ঘুরে এমন আরো অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসে। নাসিক ২৭ নং ওর্য়াডস্থ কুড়িপাড়া, ইস্পাহানি, ফুলহর, চানপুর, মুরাদপুরসহ ১০/১২ টি মহল্লার শান্তিপ্রিয় লোকজন উৎকন্ঠা, উদ্বেগ ও হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। পরস্পর উত্তেজনা মূলক অবস্থান ও নিজেদের লোকবল নিয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে দেখা গেছে। তাদের এমন অবস্থার কারনে সাধারন লোকজন রয়েছে বিপাকে।
নারায়নগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য হাজী আলাউদ্দিনকে ‘কুখ্যাত খুনি ভূমিদস্যু ও টেন্ডারবাজ’ অ্যাখ্যা দেন এলাকাবাসী। আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার পর নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তোলা হয়। বলা হয়, কুড়িপাড়া বাজারে থ্রি-নট-থ্রি (শান্তি সংঘ) নামে কালো পোশাক পরিহিত একটি বাহিনী তৈরি করেছেন জেলা পরিষদ সদস্য আলাউদ্দিন। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যা, টেন্ডারবাজি, ভূমিদস্যুতাসহ বিভিন্ন অপকর্মের মামলা রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়। দীর্ঘদিন জেল খেটে এসে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
সূত্র মতে, বন্দরের কুড়িপাড়া এলাকার মৃত মোজ্জাফর ওরফে মিজু মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিন ওরফে খুনি আলাউদ্দিন। অত্যান্ত চতুর প্রকৃতির একজন লোক। ভূমিদস্যু, খুনিসহ নানা খেতাব রয়েছে। এলাকায় অরজগতা লাগিয়ে আলাউদ্দিন শহরের হাজীপুরে বসবাস করে। আলাউদ্দিন নিজেকে বিশাল মাপের জাহির করার জন্য নানা কৌশল আটেন। ১৯৮৬ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনকে হত্যা করে যার মামলা নং ১২(০৪)৮৬ ধারা। ১৯৯৮ সালে চাঁনপুর দেওয়ানবাগ এলাকার জুলহাসকে হত্যা করে। বন্দর থানায় ১৯(৬)৯৮ নং মামলা। মুরাদপুর এলাকার দেলোয়ার হত্যা মামলা ২৪(৫)০৪ নং ধারা বন্দর থানায়। সোনারগাঁ ললাটে এলাকার সাংবাদিক দেলোয়ার হত্যা মামলার আসামীও আলাউদ্দিন। জেলা পরিষদের সদস্য হতে ৫ লাখ করে টাকা দিয়ে মাত্র ৭ ভোটে বহু অপকর্মের হোতা আলাউদ্দিন সদস্য হয়। আওয়ামী মটর চালক লীগ নেতা আবার জেলা পরিষদের সদস্য হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। আলাউদ্দিনের লোকজন ভয়ভীতি দেখানোর কারণে তারা নিজের সম্পত্তি হয়েও উক্ত সম্পত্তি দাবী করতে পারছেনা বলে অভিযোগ করেছেন ফুলবাহার। বর্তমানে জায়গা হারিয়ে জায়গার শোকে পাগলপ্রায় অবস্থায় আছে ফুলবাহার। তার সম্পত্তি উদ্ধারে তাকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের জন্য তিনি না’গঞ্জ জেলা প্রশাসক গোলাম রাব্বি মিয়া, জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক, সোনারগাঁও আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা সহ প্রশাসনের যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা পূর্বক লিখিত অভিযোগ করেও কোন সু-ফল পায়নি।
উল্লেখ্য আলাউদ্দিন নাসিক ২৭নং ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন হত্যার ১নং আসামী, হরিপুর ও বঙ্গশাসন এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে এবং বর্তমানে সে আওয়ামী মটর চালক লীগ নেতা বলে জানা গেছে। নাসিক ২৭ নং ওর্য়াড এলাকায় খুনি আলাউদ্দিনের কারনে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। মসজিদ কমিটি নিয়ে উত্তেজনা আর কমিটি গঠন নিয়ে দেশে প্রথম বন্দরের আমিন আবাসিক এলাকায় শুরু হয়। যা বন্দরবাসীর জন্য কলংকজনক অধ্যায়। সেই মসজিদ কমিটি নিয়েই আলাউদ্দিন জজ মিয়ার নাটক শুরু করছে। যা সময় যাচ্ছে আরো ঘুলাটে হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ জরুরী বলে মনে করছেন সচেতন মহল।