বন্দর(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: বন্দরে যুবলীগ নেতার ছেলেকে মদের সঙ্গে বিষাক্ত দ্রব্য মিশিয়ে খাইয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত মহিন আহম্মেদের তিন বন্ধুকে মামলার আসামী করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের পিতা আব্দুস সোবান বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলো, মহিনের বন্ধু আল-আমিন(৩০), আনন্দ(৩২) ও অজ্ঞাত আরো দুইজন। নিহত মহিন আহম্মেদ, ধামগড় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, মহিন আহম্মেদকে গত ২৮ আগষ্ট দুুপুরে আল আমিন, আনন্দসহ ৪ বন্ধু ধামগড় ইউপির ভাংতি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে আল আমিন শ্বশুর বাড়ি পাশ্ববর্তী সোনারগাঁ উপজেলার কুতুব বাজার এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে আল আমিনের শ্বশুর বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে আল আমিন, আনন্দ, মহিনসহ তারা ৪ বন্ধু মদ্যপান করে। মহিন রাতে বাড়িতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় ওই রাতেই মহিনকে মদনপুর বারাকা হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার। সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখা দিলে ভোর ৪ টার দিকে ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুর একটার দিকে মারা যায় মহিন। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ তুলেন মহিনের পরিবার।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফখরুদ্দীন ভূঁইয়া জানান, মদ্যপানের ঘটনাটি সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর ইউপির কুতুবপুর বাজার এলাকায় ঘটলেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিদের্শে অবশেষে বন্দর থানায় মামলা নেয়া হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর রহস্য বেরিয়ে আসবে। মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।