সাইফুল আলম,প্রতিনিধি…নারায়নগঞ্জ বন্দরে সেন্ট্রাল ঘাট সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় ঘেষে বিআইডব্লিউটিএর দাবীকৃত জমিতে মার্কেট নির্মানের পর বিআইডব্লিউটিএ উচ্ছেদ করতে আসলে তা নিয়ে ধস্তাধস্তি হয় জাকির শাহ এর অনুসারীদের সাথে। এর পরপরই উক্ত ভূমি প্রসঙ্গে আজ রোববার সকালে বন্দর সেন্ট্রাল ঘাট সংলগ্ন প্রতিবাদ সমাবেশ করেন কুতুববাগ দরবার শরিফের কর্ণধার তথা পীর আলহাজ্ব সৈয়দ হযরত শাহসূফি জাকির শাহ। তিনি বলেন, আমার বাড়ি বন্দরে, আমি এই এলাকারই সন্তান।আজকে আমি এসেছি সত্য কথা বলার জন্য। অসহায় মানুষদের পক্ষে দাড়াতে। আজকে এইযে জমির রক্ষার জন্য আমরা একত্রিত হয়েছি। এখানে অনেকে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। হঠাৎ করেই বি আই ডব্লিউ টি এ’র কর্মকর্তা মাসুদ কামাল বিনা নোটিশেই জনগণের বাড়িঘর ভাঙচুর করতে চায়। সরকার থেকে ক্রয় করা সম্পত্তির মালিকের উপর সাধারণ একজন অফিসার অত্যাচার করে এটা সহ্য করা যায় না। এইরকম বেহায়া-বেশরম অফিসার গোপনে গোপনে সরকারের বিরোধিতা করে। দুর্নীতি করে সরকারের উন্নয়নের ধারাকে ভেস্তে দিতে চায়। বন্দর খেয়া ঘাটস্থ র্যালী,লেজারার্স, সিরাজি কোম্পানি, আমিন- আহমদ ও রুপালী জুটস আবাসিক এলাকার এসকল সম্পত্তি মাননীয় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয় থেকে দরপত্রের মাধ্যমে সাব কবলা দলিল মূলে ক্রয়কৃত। এগুলো প্রয়োজন পড়লে নৌ মন্ত্রণালয় ও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয় একসাথে বসে কথা বলতে পারে। জনগনের উপর জুলুম করা হয় কেন। এসব জায়গার প্রত্যেকের কাছেই দলিলের গাট্টি আছে। সভা শেষে তিনি সেখানে তার দখলে থাকা একটি মার্কেটের উদ্বোধন করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এরুপ প্রতিবাদ সমাবেশ ঘিরে বন্দরে চলছে সর্বমহলে নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড়। এছাড়াও বন্দর রেললাইন এর পাশে অবস্থিত কুতুববাগ দরবার শরীফের বিরুদ্ধে রেলওয়ের পুকুর ভরাটের তথ্য পাওয়া গেছে।