নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ১৯ জানুয়ারী মঙ্গলবার ভোরে নিহত শিক্ষার্থীর বড় ভাই জামাল বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে ওই মামলা দায়ের করেন। এদিকে সকালে ময়নাতদন্তে শেষে শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুদ্দিন ভূঁইয়া মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে তদন্ত শুরু হবে।’ উল্লেখ্য সোমবার দুপুরে বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান অবস্থায় সুজন মাহমুদ (২৫) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, ‘১৪ জানুয়ারি রাতে বন্দরের ফরাজিকান্দা এলাকায় এক বন্ধুর ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান যাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। এ ঘটনায় রোববার বন্দর থানায় জিডি করে বড় ভাই জামাল। নিহত সুজন মাহমুদ বন্দর উপজেলার আবুল হোসেনের ছেলে। সে নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। বড় ভাই জামাল বলেন,‘আমি নিজে শ্রমিক হলেও ছোট ভাই সুজনকে পড়ালেখা করাতাম। সেও পড়ালেখায় ভালো ছিল। যার জন্য তোলারাম কলেজের কাছে একটি মেসে থেকে পড়ালেখা করতো। আর প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে বন্দর দক্ষিণ কলাগাছিয়া এলাকায় আমার বাসায় যেতো। শুক্রবার থেকে শনিবার সকালে চলে আসতো। কিন্তু ১৪ জানুয়ারি রাতে সুজনের মোবাইলে ফোন দেই। কিন্তু তখন মোবাইল বন্ধ পাচ্ছিলাম। পরে ওর আরেকটি মোবাইলে ফোন দিলে মেসের বন্ধুরা জানায় সে কোন এক বন্ধুর বিয়েতে গেয়েছে। তাই সেই রাতে আর কোন যোগাযোগ করিনি। পরে শুক্রবারও বাসায় না আসায় শনিবার সকালে আবারও ফোন দিলে নাম্বার বন্ধ পাই। তারপর থেকেই খোঁজ করে কোথাও না পেয়ে রোববার থানায় জিডি করি। আর সোমবার সকালে ভাইয়ের লাশ পেলাম।’ তিনি বলেন, ‘ভাইয়ের সঙ্গে কারো বিরোধ ছিল কিনা সেটা জানা নেই। এমনকি কখনো কিছু বলেনি। সে খুব ভালো ছেলে। কোথায় থেকে কি হলো বুঝতে পারছি না। আমার ভাইকে কেন মারলো কি অপরাধে মারলো জানি না।’ চাচাতো ভাই রেজাউল করিম বলেন, ‘শরীরের আঘাতের চিহ্ন আছে। অবশ্যই তাকে হত্যা করে লাশ গুম করতে নদীতে ফেলে দিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’