বন্দরে কবরস্থানের গাছ কাটা ও এলাকার আধিপাত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। নারী সহ ১০জন আহত। ভাংচুর ও লুটপাট
নারায়নগঞ্জ বন্দরের মুসাপুর ইউনিয়নের নয়াগাও এলাকায় মসজিদ কমিটির সভাপতি পদ ও কবরস্থানের গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মুসাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুরের সাথে একই এলাকার প্রভাবশালী জাতীয় পাটির নেতা সাখাওয়াতের বাহিনীদের মধ্যে গত শুক্রবার রাতে ব্যাপক সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় নারীসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এলাকার কয়েকটি বাড়ি ভাংচুরওে হয়েছে। সরজমিনে গিয়ে এলাকার বিভিন্ন মানুষের সাথে আলাপ কালে জানা যায় , স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবুরের ভাই রিয়াজুল দীর্ঘ দিন যাবত নয়াগাও মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছে। দায়িত্ব পালন কালে রিয়াজুল কারো সাথে কোন রকম আলোচনা না করে কবরস্থানের গাছ কেটে বিক্রি করে দেয়। এনিয়ে অনেক দিন যাবত নয়াগাও এলাকায় মতপার্থক্য দেখা দেয়, গত ২৩/০৪/২১ শুক্রবার মসজিদের ভিতর এ নিয়ে দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বেধে যায়। সুত্রে মতে, রিয়াজুল বাহিনী অতর্কিত হামলা করে সাখাওয়াত এর ছেলে শাওন কে সহ আরো ৫/৬ জনকে মারাত্মক ভাবে জখম করে। অপর দিকে তারাবি নামাজ চলাকালিন সাখাওয়াত বাহিনী এলাকার বিভিন্ন নিরীহ মানুষদের ঘর বাড়িতে হামলা করে। ঘটনাস্থলে বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু ও বন্দর থানার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা খবর পেয়ে দ্রুত উপস্থিত হন। সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা হলো, সাখাওয়াত, আনোয়ার, দেলোয়ার, আব্দুর রহিম, বশির, শান্ত, মরিয়ম, নাসরিন। এই ঘটনায় সিরাজুল এখনও নিখুজ রয়েছে বলে রিয়াজুল বাহিনী দাবি করছে,। পক্ষান্তরে সাখাওয়াত বাহিনী বিষয়টি বানোয়াট বলে দাবি করছে। এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।।