কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে উগ্রমৌলবাদীদের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগসহ অঙ্গ সংগঠন প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করলেও জাতীয় পার্টির তেমন কোন শব্দ পাওয়া যায়নি।
অবশেষে নারায়নগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক ও নাসিক ২৪ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন এক প্রেস বার্তায় বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে সারা দেশে বৈরী বাতাস বইছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতির জনকের ভাস্কর্য নিয়ে কোন দ্বি-মত থাকতে পারে না। আজকে বাংলা ভাষায় কথা বলি, নিজস্ব পতাকা, মানচিত্রসহ ভূখন্ড পেয়েছি যার নের্তৃতে তার বিষয়ে দ্বিমতকারীরা দেশে অরজগতা লাগাতে চাচ্ছে। বাংলার মানুষ তাকে জাতির জনক/ বঙ্গবন্ধু উপাদি দিয়েছে। আর তার ভাস্কর্য নিয়ে কোন প্রকার ষড়যন্ত্র চলবে না, মেনে নেয়া হবে না। এতদিন শুধু দেখলাম, আর চিন্তা করলাম কোন দেশের নাগরিক আমরা। ভাল কাজে উৎসাহিত না করে আরো বিরোধ লাগাতে চাই। তাদের উদ্যোশে বলি, ইসলামকে পুঁজি করে ভন্ডামি ছাড়েন। ইসলাম কারো পৈত্রিক সম্পত্তি নয়, এটা আমারও ধর্ম, আমি মুসলমান, ইসলাম শান্তির ধর্ম। সেই শান্তির ধর্মকে পুঁজি করে অশান্তির চেষ্টা আর কইরেন না, ভাল হবে না, এক ইঞ্চিও ছাড় দেয়া হবে না। আর ছাড় পাবেন না। ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ পাবেন না।
তিনি আরো বলেন, আমি কোন দলের সেঠা বিষয় না। আমি একজন মুসলমান, ইসলাম আমার ধর্ম। এ ধর্মের অপব্যবহার করে সুবিধা লুটার চেষ্টা করবেন আমরা চুপ করে বসে থাকব? তা আর না চুন-পুঁটিদের জন্য এত সভা বা আয়োজনের প্রয়োজন নেই। জামায়াত, মৌলবাদী ও ইন্দনদাতাসহ অর্থ যোগানদাতাদের তালিকা হচ্ছে। কঠোরভাবে জবাব দেয়ার ঘোষনা দিয়ে আফজাল হোসেন আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার মত ভাগ্য হয়নি। ভাস্কর্য নিয়ে কেউ আর একটি বিরুপ মন্তব্য করার পূর্বে চিন্তা করে নিয়েন। বাংলার স্বাধীন পবিত্র মাঠিতে আপনিসহ আপনার পরিবারের থাকার কোন অধিকার নেই। নিজেরা ভুলের বশত পরিবারকে মাশুল গুনতে হবে বিশাল। প্রয়োজনে সাধারন জনগন হয়ে ওই সমস্ত চুন-পুঁটিদের জন্য জিহাদ ঘোষনা করা হবে। বঙ্গবন্ধু কোন দলের না, সে হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী। বাংলার অপমার সর্বশ্রেণীর লোক তাকে জাতির জনক /বঙ্গবন্ধু উপাদি দিয়েছে। আর এটা নিয়ে কিছু লোক কথা বলবে তা আর না। দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হবে না বলে কঠোরভাবে হুশিয়ারি করেন কাউন্সিলর আফজাল হোসেন।