আবারো বিয়ে করলেন ‘ক্লোজআপ ওয়ান তারকা’ খ্যাত সংগীতশিল্পী পুতুল সাজিয়া সুলতানা । নিজের ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে ভক্তদের গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালের মার্চে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। মাত্র দুই বছরের মাথায় সেই সংসার ভেঙে যায়।
চলতি বছরের মার্চ মাসেই ডিভোর্সের খবর জানিয়ে দিয়েছিলেন পুতুল। আর সেই বিচ্ছেদ-সংবাদের রেশ কাটতে না কাটতেই দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানালেন এই জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী। গতকাল রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দুটি ছবি পোস্ট করেন পুতুল। এর একটিতে দেখা গেছে, বধূবেশে নতুন স্বামীর সঙ্গে একফ্রেমে বন্দি তিনি। অন্য ছবিতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে হাস্যজ্জ্বল নবদম্পতি। ছবি দুটির পোস্ট করে ক্যাপশনে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন পুতুল। সেখানে জানিয়েছেন, তার দ্বিতীয় স্বামীর নাম সৈয়দ রেজা আলী। অস্ট্রেলিয়ায় একটি ব্যাংকে চাকরি করেন। পাশাপাশি দুর্দান্ত গিটার বাজান। গানের কম্পোজিশনও জানেন বেশ। পুতুল জানিয়েছেন, কীভাবে রেজা আলীর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে এবং সেই বন্ধুত্ব বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়েছে। এতো কিছু জানালেও বিয়ে কবে ও কোথায় হয়েছে সেই বিষয়টি পরিষ্কার করেননি পুতুল।
‘বিবাহিত জীবনটা সহজ, এ কথা যে বলে সে হয় অপরিণত, না হয় বোধহীন। কঠিন সমীকরণের বৈবাহিক জীবনকে আমরা নিজেদের সূত্রে সহজ করার চেষ্টা করতে পারি বড়জোর। বাকিটা সৃষ্টিকর্তার কৃপা। জীবনটা উদ্ভট এবং নাটকীয় না হলে আজকের এমন একটা পরিকল্পনাবিহীন দিনে আমাদের এক হবার কোনো কারণ ছিলো না।’ পাত্রের পরিচয় দিয়ে পুতুল যোগ করেন, ‘সৈয়দ রেজা আলী আমার গানবন্ধু বহু দিনের। অস্ট্রেলিয়াতে তার বেড়ে ওঠা। সেখানেই ব্যাংকার তিনি। তিনি একজন মিউজিক কম্পোজারও, দুর্দান্ত মেধাবী একজন গিটারিস্ট। তার কম্পোজিশনে সম্প্রতি বেশ কিছু গান গাওয়া হয়েছে। আমাদের গানের বহু বছরের বন্ধুত্বকে নতুন একটা মাত্রা দেয়ার কথা ভাবেন রেজার বাবা মা। তাদের কাছ থেকে বরাবরই সীমাহীন স্নেহ ভালোবাসা পেয়েছি। আমাদের দুজনের পরিবারের বড়দের ইচ্ছা অনুসারে একেবারেই ঘরোয়াভাবে শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ঘন্টাখানেকের প্রস্তুতিতে বিয়ে! দেশজুড়ে লকডাউনের পূর্বক্ষণে এতোটা আকস্মিকভাবে বিয়ের মতো একটা ঘটনার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলাম না কেউ।’ নিজেকে নিজেই অভিনন্দন জানিয়ে পুতুল লিখেছেন, ‘শুভকামনা নিজেকে এবং আমার সঙ্গী রেজাকে। বিবাহিত জীবনের দুর্গম পথ পাড়ি দেওয়ার মতো বলিষ্ঠ পথিক যেন হয়ে উঠতে পারি। সুরের বন্ধন আত্মার বন্ধনে গিয়েও যেন একইরকম সুরেলা থাকে, যেন ছন্দ না কাটে। যেন সুর তাল লয়ের পরিমিতিতে অপূর্ব সঙ্গীত সৃষ্টি করতে পারি সংসার নামের এই রহস্য-দুর্ভেদ্য জায়গাটায়। বন্ধু হিসেবে যেভাবে চিনতাম তাকে, সঙ্গী হিসেবেও সেই চেনাটাই যেন সত্যি হয়।’