আবারো ট্রলের শিকার হলেন নুসরাত জাহান! রিল ভিডিও বা কোনও উৎসবকে কেন্দ্র করে নয়। এবার ট্রলিংয়ের কারণ তাঁর ফটোশ্যুট। বছর ফুরিয়ে এলেও উৎসবের মৌসুম ফুরায়নি। বিয়েবাড়ি আছে। বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষও বাকি। আর বাঙালি উৎসবপ্রেমী। তাই বিশেষ দিনে স্পেশাল কিছু দেখানোর টিপস দিয়েছেন সাংসদ-তারকা। স্বামী নিখিল জৈনের সংস্থার তৈরি পোশাকে নিজেকে সাজিয়ে ভিডিও শ্যুট করে। সেই ক্লিপিং শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সেখানেই উড়ে এসেছে মন্তব্য, ‘শুধু ফটোশ্যুট করলেই হবে দিদি? কাজও কিছু করুন, বসিরহাটের লোকজন তো আপনার টিকিও খুঁজে পাচ্ছে না কয়েক মাস ধরে!’ কোনও উত্তর দেননি বসিরহাটের সাংসদ। তবে কাজে করে দেখিয়েছেন। অতি সম্প্রতি পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রে। একুশের নির্বাচনের আগে শাসকদলের নতুন পদক্ষেপ ‘দুয়ারে সরকার’-এর কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি না বসিরহাটে, দেখতে। বসিরহাটের নানা অঞ্চল ঘুরে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করতেও দেখা যায় তাঁকে। শোনেন বাসিন্দাদের কথা। সেলফিও তোলেন অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে। সেই ছবি পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে অভিনেত্রীর ফ্যান ক্লাব। ট্রলিংয়ের ‘জবাব’ হিসেবে। এভাবেই উঠতে-বসতে সেলেবদের ট্রোল করাটা যেন নেটিজেনদের নিউ নর্মালের নয়া অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে! কে কাকে বিয়ে করবেন, নতুন বৌয়ের চেহারা, চুলের স্টাইল, সিঁদুর পরানোর ধরন-কিচ্ছু বাদ নেই এই তালিকা থেকে। সম্প্রতি বিয়ে করে বিচ্ছিরি ভাবে ট্রলড হয়েছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। নুসরত জাহানও ট্রলড হন প্রায়ই। উৎসবে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে। রিল ভিডিয়োর জন্য। এবং প্রতিবাদী সত্ত্বার জন্য। কিছু দিন আগেই এই ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তারকা, ‘‘ভোট এলেই ‘লাভ জিহাদ’ শব্দটা ঘুরে ফিরে আসে। অথচ দুটো শব্দের সম্পূর্ণ বিপরীত অর্থ। কিছুতেই পাশাপাশি বসতে পারে না।’’