চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ব্যাপারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্র হত্যাকারী ঘাতক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, “এ নির্বাচন চূড়ান্ত পর্যায়ের তামাশা, প্রহসনের নির্বাচন। এ সরকারের সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন অচেনা হয়ে যাবে।”
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ‘নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি ও সন্ত্রাস’ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
চট্টগ্রামের ৭৩৫টি কেন্দ্রে আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই বিএনপির মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করতে থাকেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্বাচনকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ করতে বিএনপি ‘পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন কেন্দ্রে হামলা’ করছে।
নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২১ জন আহত হন। আর পাহাড়তলীতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘাতের মধ্যে গুলিতে এক যুবকের মৃত্যু হয়।
ভোট চলার মধ্যেই দুপুরে ঢাকার নির্বাচন ভবনে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বরাবরে এক গুচ্ছ লিখিত অভিযোগ দিয়ে আসেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
সেখানে রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ভোটের ৩ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত চিত্র দিয়েছি। এটা নজিরবিহীন নির্বাচন। দিনের ভোট রাতে হয়।“
অন্তত ২০টি বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে রিজভী বলেন, “এ ভোটে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে; আজকে দুজন মারা গেছেন। এটা সহিংসতার নির্বাচন। এদেশে তারা শান্তিপূর্ণ ভোটের কথা বলে, তার দৃষ্টান্ত দুই তিন ঘণ্টার মধ্যে ঘটেছে। সিটি নির্বাচন এলাকায় চরম সহিংস অবস্থা বিরাজ করছে।“
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব দাবি করেন, চট্টগ্রামে তাদের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে যেতে না পারেন সেজন্য ‘বাধা দেওয়া হচ্ছে’। পুলিশ ‘কিছু করতে পারছে না’।
সিইসিকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, “ৃএদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে হত্যাকারী ঘাতক হচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। হুকুমের আসামি সরকার প্রধান।”