রাজধানীর শ্যামপুরে সালাউদ্দিন ফিলিং স্টেশনে সহকর্মী কর্তৃক পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়া দগ্ধ সেই কর্মচারী রিয়াদ হোসেন (২০) মারা গেছেন। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঢাকার জুরাইনের কমিশনার রোডে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন রিয়াদ। তার বাবা ফরিদ মিয়া একজন গাড়িচালক। রিয়াদ সিদ্ধেশ্বরী কলেজে অনার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। মহামারীর মধ্যে পরিবারে অস্বচ্ছলতা দূর করতে নভেম্বর মাসের ৪ তারিখে ৫ হাজার টাকা বেতনে জুরাইন ‘এস আহমেদ’ পেট্রল পাম্পে চাকরি নিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার ভোরে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয় রিয়াদকে। শ্যামপুর থানার এসআই মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ওই পেট্রোল পাম্পে সহকর্মীরা রিয়াদের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। এ ঘটনায় রিয়াদের বাবার করা মামলায় মাহমুদুল হাসান ইমন (২২), ফাহাদ আহমদ পাভেল (২৮) ও শহিদুল ইসলাম রনিকে (১৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘তিনজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ পাওয়া যায়নি। যেহেতু ভিকটিম মারা গেছে, তাই পুলিশ হেফাজতে চেয়ে আবার আবেদন করা হবে। রিয়াদের বাবা মো. ফরিদ হোসেন বলেন, রিয়াদ সিদ্ধেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের শিক্ষার্থী ছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম সালাউদ্দিন ফিলিং স্টেশনে কাজ করতো। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল বড়। তিনি বলেন, ছেলের সহকর্মীরা তাকে পেট্রল ঢেলে শরীরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। তবে কী কারণে তারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানতে পারেননি।