প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অ্যাসিড সন্ত্রাসের মতো ধর্ষণ নামের ‘পাশবিকতা’ রুখতেই সরকার আইন সংশোধন করে ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংযুক্ত করেছে। আজ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্ষণ একটা পাশবিকতা, মানুষ পশু হয়ে যায়। যার ফলে, আমাদের মেয়েরা আজকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই জন্য আমরা এই আইনটি সংশোধন করে ধর্ষণ করলে যাবজ্জীবনের সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে কেবিনেটে সেই আইন পাস করেছি। তিনি বলেন, জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। সেটাও কিন্তু আমরা মোকাবেলা করেছি। পাশাপাশি এসিড নিক্ষেপ, সেটাকেও আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। সেখানে আমরা আইন সংশোধন করেছিলাম। একই কারণে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্ষণ একটা… মানে… আমি বলব, একটা মানুষ পশু হয়ে যায়। সেই জন্যই তাদের মধ্যে এই পাশবিকতা। তার ফলে আজকে আমাদের মেয়েরা ক্ষতিগ্রস্ত। সেই জন্য আমরা এই আইনটি সংশোধন করি। ধর্ষণ করলে সেখানে যাবজ্জীবনের সাথে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ইতোমধ্যে আমরা ক্যাবিনেটে সেই আইন পাস করে দিয়েছি। যেহেতু পার্লামেন্ট সেশনে নাই, আমরা এটা অধ্যাদেশ জারি করে দিচ্ছি। সংসদ নেতা বলেন, যে কোনো একটা সমস্যা দেখা দিলে সেটাকে মোকাবিলা করা এবং দূর করাই আমাদের লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘মহিলা ও শিশু নির্যাতন দমন প্রতিরোধ (সংশোধন) অধ্যাদেশ -২০২০’ এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। আজ রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মধ্য দিয়ে আইনটি কার্যকর হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের মূল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ আজকে সমগ্র বিশ্বে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’ এ সময় করোনাকে আরেকটি দুর্যোগ আখ্যায়িত করে তিনি বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাসের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, তাদেরকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে অনেক সময় মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হয়।