পদ্মা সেতু দিয়ে একযোগে সড়ক ও রেলপথ উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেছেন, আমরা আশা করছি এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের শুরুটা যেন সড়ক পথের পাশাপাশি ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল চলাচল করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে।
ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুতে সড়ক পথের পাশাপাশি রেলপথের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইনের কাজ ইতোমধ্যে বেশিরভাগই হয়ে গেছে বলেও জানান রেলপথ মন্ত্রী। বুধবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অবস্থিত পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের স্লিপার কারখানার উৎপাদন পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। মন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৮ কিলোমিটার রেললাইনের স্লিপার চীনের এই কোম্পানি থেকেই তৈরি হবে। পরে প্রায় ঘণ্টাখানেক স্লিপার কোম্পানির বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে কাজের মান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন রেলপথ মন্ত্রী। সিআরইসির প্রকল্প পরিচালক ওয়াং কুন এ সময় রেলমন্ত্রী ও আগত অতিথিদের জানান, স্লিপার লেইং সেটিংয়ে বর্তমানে দুইশো স্থানীয় কর্মী কাজ করছেন। তারা সিআরইসির সিনিয়র চীনা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পেশাদার প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন। চলতি বছরের ২২ আগস্ট থেকে কারখানাটি ছোট পরিসরে উৎপাদন শুরু করে। এখন পর্যন্ত কারখানাটি খুব ভালোভাবে তাদের কর্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক ওয়াং কুন। সিআরইসির তত্ত্বাবধানে নির্মাণাধীন বাংলাদেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা পরিদর্শনকালে রেলপথ মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক শামসুজ্জামান, পিবিআরএলপি প্রকল্প পরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, সিআরইসির প্রকল্প পরিচালক ওয়াং কুন, জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুর রহমান খান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল আমিন মিয়া, ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানসহ কর্মকর্তাবৃন্দ।