নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিস্টার এর কর্মকতা মো. জিয়াউল হক বলেছেন, বিবাহ রেজিস্টার না করলে কিংবা তালাক রেজিস্টার আইন ব্যক্তয় ঘটালে দুই বছরের কারাদন্ড ও জরিমানার বিধান রয়েছে। আইন হলো মূল, বিধিমালা হলো সহায়ক। আপনারা যা কিছু করবেন এসকল বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে করবেন। তাছাড়া বাল্য বিবাহের ক্ষেত্রে আপনারা সতর্ক থাকবেন। একজন কাজী হিসেবে সকলের অনেক সামাজিক দায়িত্বও রয়েছে তা আপনাদের পুঙ্খানুভাবে পালন করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে দিন ব্যাপী নারায়ণগঞ্জে কর্মরত নিকাহ রেজিস্টারগণের কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় কর্মশালায় অংশ নেয়া ২০ জন নিকাহ রেজিস্টারগণ সফলভাবে প্রশিক্ষন সম্পন্ন করেন। পরে তাদের আনুষ্ঠানিক ভাবে সনদপ্রত্র প্রদান করা হয়েছে।জেলায় কর্মরত সকল কাজীদের নিয়ে আয়োজিত এ কর্মশলায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর সাব রেজিস্টার মো: আব্দুর রকিব সিদ্দিক, ফতুল্লার সাব রেজিস্টার মো. হায়দার আলী খান, নারায়ণগঞ্জ জেলা কাজী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব কাজী মো: ইসলাম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো: নাজমুল ইসলাম বাবুল । সকল কাজীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, বিবাহ সংক্রান্ত রের্কড এটা অত্যন্ত পবিত্র। আপনারা প্রচলিত আইনগুলো জানবেন। আর এজন্য বেশী বেশী বিবাহ রেজিস্ট্রি সম্পর্কিত বই পড়তে হবে। তা না হলে সমস্যায় পড়তে হবে। বর্তমানে বাল্য বিবাহ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনেক নির্দেশনা রয়েছে। তা জেনে নিবেন। তাছাড়া আপনাদের রেজিস্টার বইগুলো আপনাদের সহযোগীরা কিন্তু লিখতে পারবেনা, সেদিকটা খেয়াল রাখবেন। কারণ সরকার আপনাদেরকে অনুমোদন দিয়েছে। কোন কিছুতে ত্রুটি হলে কিন্তু আপনারাই দায়ী হবেন।সভাপতির সমাপনি বক্ত্যব্যে আলহাজ্ব কাজী মো: ইসলাম মিয়া বলেন, নিকাহ নামা রেজিস্টারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ফরম সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। ফরমের কোন অংশেই খালি রাখা যাবে না। কাবিন নামায় দেনমহর, তারিখ এগুলির দিকে বিশেষ সর্তক থাকবেন। কারন পরবর্তীতে কোন ভাবেই দেনমহর ও তারিখ কমানো এবং বাড়ানো যাবে না। আরেকটি সমস্যা বেশী দেখা দেয় তা হলো ফোনে নিকাহ করা। এতে করে বরের সাক্ষর নিয়ে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাই প্রচলিত আইন ও নির্দিষ্ট ফরম পূরণের মাধ্যমে যে নিয়ম রয়েছে তা লক্ষ্য করবেন। তা না হলে পরবর্তীতে আমাদের কাজীগণদের আদালতের সমুখিন হতে হবে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, কাজী মাও. অলি উল্লাহ, কাজী মাও. খোরশেদ আলম, কাজী মাও. কবির হোসেন, কাজী মাও. আশরাফ উদ্দিন মোসলেহ উদ্দিন, কাজী মাও. মাছিহুুর রহমান, কাজী মাও. ফারুক আহমেদ, কাজী মাও. ফাইজুল্লাহ, কামরুল ইসলাম সহ জেলার অন্যান্য নিকাহ রেজিস্টারগণ।