ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার এখন সারাদেশ। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মানববন্ধনে বক্তারা নোয়াখালীতে নারী নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ও তাদের ইন্ধনদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
ধর্ষণের বিচারের জন্য দ্রুত আলাদা ট্রাইবুনাল গঠনের দাবি জানিয়েছে গ্রিন ভয়েস নামের একটি সংগঠন। ধর্ষণকে জামিন অযোগ্য অপরাধ বলেও ঘোষণা করার দাবি জানান তারা।
এদিকে, নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ। এ সময় বক্তারা বলেন, সরকারের বিচক্ষণতার জন্য আসামিরা ধরা পড়ছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
রাজধানীর শাহবাগে দেশব্যাপী নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে “ধর্ষণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যানারে” মানববন্ধন করেছে কিছু বাম সংগঠন। সেখানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে নোয়াখালীর বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। বক্তারা অভিযোগ করেন, অপরাধীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় নিজেদের আড়াল করছে।
রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। এ সময় বক্তারা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানান।
রাজশাহীতে মানববন্ধন থেকে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ সাজা ও সামাজিকভাবে প্রতিরোধের আহ্বান জানানো হয়। প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে পদযাত্রা ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা।
এছাড়া, সাতক্ষীরা,দিনাজপুর, ভোলা, কুমিল্লা, ঝিনাইদহ, মুন্সীগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গাসহ অন্যান্য জেলায়ও ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। এসব সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, দেশে আইনের শাসন না থাকায় ধর্ষণসহ নারী নির্যাতন বেড়েছে।