সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তের মাঝেই মাথাচাড়া দিয়েছে মাদক মামলা। অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী, তার ভাই সৌভিক, স্যামুয়েল মিরান্ডা, দীপেশ সাওয়ান্তকে গ্রেপ্তার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। বর্তমানে সামনে এসেছে দীপিকা পাড়ুকোন, শ্রদ্ধা কাপুর, সারা আলি খান এবং রাকুলপ্রীত সিংয়ের নামও। তাদেরও ইতিমধ্যেই জেরা করেছে। তদন্তের স্বার্থে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাদের মোবাইল। সূত্রের খবর, এবার ওই অভিনেত্রীদের আর্থিক আয়-ব্যয়ের হিসাব খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। জানা গেছে, দীপিকা, সারা, শ্রদ্ধা, রাকুলপ্রীত গত ৩ বছর ঠিক কত টাকা আয় করেছেন এবং কত টাকা ব্যয় করেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারা ক্রেডিট কার্ড ঠিক কোন কোন জায়গায় ব্যবহার করেছেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আদতে মাদক কেনাবেচার ক্ষেত্রে তারা টাকা লেনদেন করেছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতেই মূলত এবার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের দিকে নজর দিয়েছেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, এনসিবি’র কাছে জেরায় ইতিমধ্যে দীপিকা পাড়ুকোন মাদক সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। শ্রদ্ধা কাপুর জানিয়েছেন তিনি যে পার্টিতে গিয়েছিলেন সেখানে মাদক ছিল। তবে তিনি মাদক সেবন করেননি। সারা আলি খান জানিয়েছেন, ‘কেদারনাথ’ ছবির শুটিংয়ের সময় তিনি সুশান্ত সিং রাজপুতকে মাদক নিতে দেখেছেন। তবে তিন অভিনেত্রীই নিজেরা মাদক নেননি বলেই দাবি করেছেন। সূত্রের খবর, দীপিকা নাকি এনসিবি কর্তাদের সামনে জেরায় কেঁদে ফেলেন। তার উত্তরে খুশি নন তদন্তকারীরা। খুব শীঘ্রই এই তিন অভিনেত্রীকে ফের এনসিবি ডেকে পাঠাতে পারে বলেই সূত্র মারফত জানা গেছে।
এদিকে, করণ জোহরের হাউস পার্টির ভাইরাল ভিডিও নিয়েও জলঘোলা হচ্ছে যথেষ্ট। ইতিমধ্যেই করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনের ম্যানেজার ক্ষিতীশ প্রসাদকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এনসিবি। তিনি এনসিবি’র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। তার দাবি, মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে এনসিবি নাকি করণ জোহরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। ক্ষিতীশ বলেন, “এনসিবির আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে স্পষ্ট জানিয়েছেন করণ জোহরের নামে অভিযোগ করলে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।” এছাড়াও বাড়ির ব্যালকনি থেকে শুধুমাত্র সিগারেট উদ্ধার হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো গ্রেপ্তার করল তাকে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন ক্ষিতীশ। যদিও এনসিবি ক্ষিতীশের তোলা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।