দায়িত্ব অবহেলা ও নি¤œ মানের সেবা প্রদানের কারনে নারায়নগঞ্জ বন্দরে সরকারি টেলিফোনের কদর কমে গেছে। এক সময়ে সরকারি টিএন্ডটি সংযোগ বন্দর উপজেলায় ব্যপক চাহিদা ছিল। গ্রাহক সেবার মান নি¤œমুখি হওয়ার কারনে বর্তমানে সরকারি টেলিফোনের কদর নেই বন্দরে। টিএন্ডটি অফিসের কর্মকর্তাদের গাফলতির কারনে নানা সমস্যায় জর্জরিত টেলিফোন সংযোগগুলো। বন্দর উপজেলার গুরুত্বপুর্ণ সরকারি অফিস, ব্যাংক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে টেলিফোনের সংযোগে দেখা গেলেও আদাও কোন সংযোগ পাওয়া যায়নি সেখানে। অথচ প্রতিমাসেই তাদের টেলিফোন লাইন চার্জসহ বিল পরিশোধের জন্য গুনতে হয় শত শত টাকা কারন এ উপজেলার টিএন্ডটি অফিসের কর্তব্যরত কর্র্মকর্তা কর্মচারীরা চলে তাদের নিজেস্ব গতিতে। টেলিফোনের সংযোগ থাকুক আর না থাকুক এ নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারায়নগঞ্জ বন্দর উপজেলা পরিষদসহ বন্দরের গুরুত্বপুর্ণ সরকারি অফিস গুলোতে টেলিফোনের লাইন আছে কিন্তু সেই টেলিফোন গুলোতে কোন প্রকার সংযোগ পাওয়া যায় না। দিন বদলের পালা নিয়ে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল নেটওর্য়াকের আওতায় আসলেও সরকার টিএন্ডটি ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য প্রতি বছরই এই খাতে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ টিএন্ডটি বোর্ড ও টেলি যোগাযোগের আওতায় দায়িত্বে আছে শত শত কর্মকর্তা কর্মচারী।
গত ২৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্দর উপজেলার টিএন্ডটি অফিসের বেহাল দশা। অফিসের প্রধান গেট না খুলতে খুলতে লতা পাতায় জর্জরিত ও গেটে মরিচা ধরে ব্যবহারের অনপুযোগি হয়ে পরেছে। আশপাশে নোংরা হয়ে রয়েছে এবং মাদক সেবনের আস্তানা হয়ে উঠেছে। অভিযোগের জন্যও নেই কোন বক্স। এ বিষয়ে বন্দর টেলিফোন অফিসের লাইনম্যন মো: নাছির উদ্দিন বলেন, বন্দরে প্রায় ৮শত লাইন চালু ছিল। কমতে কমতে এখন ৬০/৭০ টি লাইন রয়েছে। আমাদের অফিসে ৫ জন ষ্টাফ রয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই অফিসে আসে না আমার একাই সব দেখতে হয়।
এ বিষয়ে বন্দর টেলিফোন অফিসের জুনিয়র সহকারী ম্যানেজার মো: হাবিবুর রহমান জানান, বিভিন্ন রাস্তা ড্রেনের কাজের সময় আমাদের কেবল কাটা পরেছে যার ফলে সংযোগ বিছিন্ন রয়েছে। আর অফিস ষ্টাফ অনুপস্থিত থাকার বেপারটা আমি ব্যবস্থা নিবো। আমাদের প্রধান গেট ব্যবহারের অনপযোগি হয়ে পরেছে নিরাপত্তার জন্য গেটের জন্য আবেদন করেছি।