থানায় জিডি করতে এসে
বন্দরে স্কুল ছাত্র অপহরণের
সন্দেহে জুয়েল আটক
থানায় জিডি করতে এসে জুয়েল (২৪) নামে এক বিকাশ এজেন্টকে আটক করেছে বন্দর থানা পুলিশ। গত সোমবার রাতে বন্দর থানা চত্বর থেকে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী রোববার সকালে বন্দরে স্কুল ছাত্র অপহরণের পর মুক্তিপন আদায়ের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে জুয়েল (২৪) নামে যুবককে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অপহৃত স্কুল ছাত্রের মা কাজল বেগম বাদী হয়ে গত সোমবার রাতে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে। যার মামলা নং ১৯(২)২১। আটককৃত জুয়েল বন্দর থানার হাজীপুর কবরস্থান রোড এলাকার নুরুল হক মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার তিনগাও এলাকার প্রবাসী ইমন মিয়ার ছেলে জিসান আহাম্মেদ এম.বি.এন ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীতে লেখাপড়া করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারী রোববার বেলা ১১টায় স্কুল ছাত্র জিসান চুলকাটার জন্য বাড়ী থেকে বের হয়। চুলকেটে বাড়ীতে না ফেরার কারনে তার মা কাজল বেগমসহ তার স্বজনরা চিন্তিত হয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করতে থাকে। অতঃপর স্কুল ছাত্র জিসান অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তির ০১৮৩৩০৫৩০৭৩ নাম্বার থেকে এ নাম্বারে ০১৯৩৯০৩৬০১৪ ফোন দিয়ে তার মাকে জানায় উক্ত নাম্বারে ৫০ হাজার টাকা পাঠাও। পরে গৃহবধূ কাজল বেগম ছেলের কথা মতে অজ্ঞাত নামা ব্যাক্তির ০১৮৮৯১০০৪৩৬ ও ০১৮৮৯১১১৮০২ নাম্বারে কয়েকবার বিকাশের মাধ্যমে ৪৫ হাজার টাকা পাঠায়। টাকা পাঠানোর পর অপহরনের ওই দিন বিকেল পৌনে ৫টায় অপহরনকারিরা স্কুল ছাত্র জিসানকে ছেড়ে দেয়। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আবুল খায়ের গনমাধ্যমকে জানান, অপহরন ঘটনা জড়িত থাকার সন্দেহে ও মুক্তিপনের টাকা তার মোবাইল ফোনে থাকার অপরাধে জুয়েলকে আটক করেছি। আটককৃতকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত স্বার্থে আটককৃতকে নিবিড় ভাবে আরো জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। আটককৃতকে মঙ্গলবার দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সে সাথে আমরা অপহৃত স্কুল ছাত্র জিসানকে একই সময়ে ২২ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।