ঢাকা টেস্টে ৪ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রান তুলে দ্বিতীয়দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে এখনও পিছিয়ে আছে ৩০৪ রানে। ফলোঅন এড়াতে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যদের এখনও করতে হবে অন্তত ১০৪ রান।
টেস্টে ফিরে সৌম্য সরকার প্রথম ওভারেই শট খেলতে গেলেন অনসাইডে। কাটা পড়লেন ব্যক্তিগত শূন্য রানে। নাজমুল শান্ত পেছনের পায়ে খেলতে গেলেন কাভার ড্রাইভ। গ্যাব্রিয়েলের বলে তিনিও ফিরলেন শুরুতেই। মুমিনুল হক (২১ রান) আউট হলেন স্পিনে শট খেলতে গিয়ে। আর আশা দেখানো তামিম ইকবাল (৪৪ রান) ফিরলেন আলজারি জোসেপের পেসে অনড্রাইভ খেলতে গিয়ে।
দ্বিতীয়দিন ইনিংস বড় করে লজ্জা এড়ানোর লড়াইয়ে মাঠে নামবেন ২৭ রানে অপরাজিত দেশসেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তার সঙ্গে নামবেন সাকিব আল হাসানের ইনজুরিতে মিডল অর্ডারে জায়গা পাওয়া মোহাম্মদ মিঠুন (৬)।
এর আগে মিরপুর শেরেবাংলার ফ্লাট উইকেটে টস জিতে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ৪০৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চট্টগ্রাম টেস্টে দুর্দান্ত ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় পাওয়া ক্যারিবীয়দের হয়ে সিরিজের শেষ টেস্টে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা জসুয়া ডি সিলভা। তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে আলজারি জোসেপের সঙ্গে গড়েন ১১৮ রানের জুটি।
এছাড়া পেসার জোসেপ ৮২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলকে এগিয়ে নেন। তার আগে বাংলাদেশ বোলারদের চাপে রেখে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ৯০ রানের ইনিংস খেলেন এনক্রুমাহ বোনার। তাকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন মেহেদি মিরাজ। তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ৯৯তম উইকেট। জসুয়ার সঙ্গে ৮৮ রানের জুটি হয় বোনারের।
ওয়েস্ট ইন্ডির বড় রান হওয়ার পেছনে অবদান রাখেন দুই ওপেনার ক্রেগ ব্রাথওয়েট ও জোহান ক্যাম্পবেল। তারা শুরুতে ৬৬ রান যোগ করেন। অধিনায়ক ব্রেথওয়েট ৪৭ রান করে ফিরে যান। তার আগে আউট হওয়া ক্যাম্পবেল করেন ৩৬ রান। এছাড়া জার্মেইন ব্লাকউড করেন ২৮ রান। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে চারটি করে উইকেট নেন পেসার আবু জায়েদ ও স্পিনার তাইজুল ইসলাম।