গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে আরও ৮০১ জনের। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চলতি মাসে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে ২৬৮ জন ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন। এর বাইরে ঢাকা বিভাগে ২০৮, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২৬, খুলনা বিভাগে ৬১, বরিশাল বিভাগে ৫৫, রাজশাহী বিভাগে ৩৭, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৭, রংপুর বিভাগে ১৭ ও সিলেট বিভাগে ২ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৮৫৫ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এদিকে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৫ হাজার ৭০১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৩৬ জন মারা গেছেন। মারা যাওয়াদের মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ব্যাপকভাবে শুরু হয় ২০০০ সালে। ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২ লাখ ৪৪ হাজার ২৪৬ জন এ রোগে আক্রান্ত হন। এ সময় মারা যান ৮৫৩ জন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয় গত বছর। এ সময় ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। আর মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনসহ সারা দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলা সংক্রান্ত স্থানীয় সরকার বিভাগের জরুরি এক সভায় ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় মশক নিধন অভিযান কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সমন্বয় ও নিবিড়ভাবে তদারকি করতে ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪টি টিম এবং উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩টি টিম কাজ করবে। নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকায় কার্যপরিচালনার জন্য পৃথক একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা সাভার, দোহার, তারাব, রূপগঞ্জ ও অন্যান্য পৌরসভার জন্য আরও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এসব কমিটিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্মসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রধান করা হয়েছে।