আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার বিভাগ অবশ্যই স্বাধীন। বিচারকার্যে বিচারকগণ সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন। বিচার বিভাগের মর্যাদা বজায় রেখে ন্যায়বিচার করা এবং জনগণের কাছে ন্যায়বিচার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করা বিচারকদের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি বিশ্বাস করেন, বিচার বিভাগের সকল কর্মকর্তা এই দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রস্তুত এবং দক্ষ।
আজ রবিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের নতুন বিচারকদের জন্য ভার্চুয়ালি আয়োজিত পঞ্চম ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পাঁচদিন মেয়াদী এ প্রশিক্ষণে জেলা জজ পদমর্যাদার ৩৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন। মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ সামনে আসবে। আজকে করোনা ভাইরাসের চ্যালেঞ্জ এসেছে। ভবিষ্যতে কি চ্যালেঞ্জ আসবে জানিনা। তবে ভবিষ্যতেও চ্যালেঞ্জ আসবে। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য প্রশিক্ষিত হতে হবে। এ বিষয়ে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য যে সক্ষমতা প্রয়োজন, যে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন সেটা বর্তমান সরকার করবে। কারণ সরকারের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের কাছে তাদের সকল সেবা পৌঁছে দেওয়া। তাই জনগণের কাছে বিচার সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার তা সরকার করবে।
প্রশিক্ষণগ্রহণ করে বিচার বিভাগকে নতুন পথ দেখানোর আহ্বান জানিয়ে বিচারকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, জনগণ বিচারকদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা সুষ্ঠু বিচার চায়। তিনি বিচারকদের সুষ্ঠু ও ন্যায়বিচার প্রদান করতে পরামর্শ দেন। আনিসুল হক বলেন, চলতি বছরে অন্তত ছয় লাখ মামলা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের মহামারির কারণে সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এই অবস্থায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে কীভাবে মামলাজট কমানো যায় তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। তিনি বলেন, বছরের এখনও প্রায় চার মাস সময় আছে, এই সময়ে দেড় লাখ মামলাজট কমাতে পারলেও কিছু একটা অর্জন হয়েছে বলে মনে হবে। এ বিষয়ে তিনি বিচারকদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া বক্তৃতা করেন।