বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে ইতিহাসের খলনায়ককে নায়ক বানানোর অপচেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ বুধবার (১৭ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কৃষকলীগ আয়োজিত মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়া ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম বেতার থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। আর তার আগের দিন নুরুল হক নামে এক ব্যক্তি জীবন বাজি রেখে মাইকিং করে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। জিয়াকে যদি স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করা হয় তাহলে স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা পাঠকারী হচ্ছেন চট্টগ্রামের নুরুল হক। তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুল বন্ধ ঘোষণা করার ক্ষমতা প্রধান শিক্ষকের আর স্কুলের দপ্তরি সেই ঘোষণা পাঠ করে শোনান। ঠিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন আর জিয়া ছিলেন স্কুলের দপ্তরির ন্যায় পাঠকারী মাত্র। এসময় তিনি জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধের সময় বদলি দপ্তরি হিসেবেও মন্তব্য করেন। হাছান মাহমুদ বলেন, মুজিববর্ষেই সরকার মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারকে ধন্যবাদ জানানো দরকার ছিল। কিন্তু তারা সেটা করতেও কার্পণ্য করেছে। সরকারকে ধন্যবাদ দিতে লজ্জা লাগলে অন্ততপক্ষে দেশের জনগণকে একটা ধন্যবাদ দিতে পারতো। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটি বিএনপির পছন্দ নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ইতিহাসকে মেনে না নিলে ইতিহাস তাদের ক্ষমা করে না। যারা জনগণকে বিভ্রান্ত করেন তাদের অন্ধ ও বধিরের মতো সমালোচনা না করতে বিএনপির প্রতি আহবান জানান। কৃষকলীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে দলটির সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতিসহ দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে কৃষকদের মাঝে সার বিতরণ করে কৃষকলীগ।