জেলা প্রতিনিধিঃ এ যেনো গণতান্ত্রিক দেশে রাজতন্ত্রের মগেরমুলুক। নিজেদের অপকর্মের ফিরিস্তি জনগণ যেনে যাওয়ায় করোনা ভাইরাসের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে রহিম স্টিলে কর্মরত নিরীহ শ্রমিকদের জোরপূর্বক মহাসড়কে দাঁড় করিয়ে নিজের পক্ষে মানববন্ধন করেছেন সোনারগাঁও উপজেলার কাচঁপুর এলাকার প্রভাবশালী চাঁদা বাজ নেতা সেভেন মার্ডারের নুর হোসেনের স্যালক মাহাবুব খাঁন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সচেতন মহল জানান,সেভেন মার্ডারের প্রধান নুর হোসেন প্রশাসনের হাতে গ্রেফতারের পর তার স্যালক কাচঁপুর ইউনিয়নের প্রয়াত মুসলিম খানের ছেলে নুর আলম খান ও মাহাবুব খান নুর হোসেনের সকল অবৈধ অস্ত্র দিয়ে সারা নারায়ণগঞ্জে টেন্ডারবাজী,জমিদখল,মহাসড়কে চাঁদাবাজি,মহাসড়কে অবৈধভাবে কাউন্টার বসিয়ে দখলবাজি,রহিম স্টিল কোম্পানিকে জিম্মি করে জোরপূর্বক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা হয়ে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা বাজি ও নুর আলম খানের সেল্টারে মাদক ব্যবসা পরিচালনা সহ সকল অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে। এলাকাবাসী আরও জানায়,নুর আলম খানের সহযোগী আসু ওরফে কাইল্লা আসু কিছুদিন আগে র্যাবের হাতে ২২০বোতল ফেন্সিডিল সহ গ্রেফতার হয়। এর আগে নুর আলম খানের ব্যাক্তিগত অফিস কাচঁপুর হাইওয়ে থানার পাশে তেলের পাম্পের সাথে সেই অফিসের কেয়ারটেকার রফিক মারা যাওয়ার পর তার রুম থেকে ১৬০বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার হয়। একজন মাফিয়া ডনের মতো সারা সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে যাচ্ছে দুই গুনধর ভাই মাহাবুব খান ও নুর আলম খান। এ বিষয়ে মাহাবুব খান জানান,তার বিরুদ্ধে ষরযন্ত্রকারীরা অপপ্রচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য সংবলিত নিউজ প্রকাশ হওয়ার পর থেকে তারা দুই ভাই নিজেদের পক্ষ্যে সাফাই গাওয়ার জন্য এই করোনার ভাইরাসের মহামারিতেও জোরপূর্বক রহিম স্টিলের নিরীহ শ্রমিকদের চাকুরীচ্যুতের ভয় দেখিয়ে মহাসড়কে মানববন্ধন করে। যা সম্পূর্ণ সরকার বিরোধী ও জনদূর্ভোগের একটি বিষয়।এমতাবস্থায় তাদের দুই ভাইয়ের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। এবিষয়ে কাচঁপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মাহাবুব খান ও নুর আলম খানের অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার জন্য জনগণকে অনুরোধ করেন। তাছারা মাহাবুব খান ও নুর আলম খানের কোন স্থায়ী চাকরী বা বৈধ কোন ব্যবসা না থাকার পরও কোটি টাকার আলিসান বাড়ী আর দামী ব্রান্ডের গাড়ী নিয়ে ধাপিয়ে বেড়ান কিভাবে? তাদের আয়ের উৎস অনুসন্ধানে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদকের অভিযান পরিচালনা করার আহবান জানান এলাকার সচেতন মহল।