মায়ের বুলি
বাকশূন্য মুখটি নিয়ে পৃথিবীতে আসা,
দিনে দিনে মায়ের কাছে শেখা হল ভাষা।
এমনি করে সবার কাছে মাতৃভাষা হয়,
সবার মাঝে পাওয়া যায় ভাষার পরিচয়।
দেশের জন্য যেমন যুদ্ধ করতে হয়,
ভাষার জন্য তেমন জীবন দিতে হয়।
মহাকর্ষ শক্তির মতো মাতৃভাষার টান,
ভাষার জন্য জীবন দিল বাঙালি সন্তান।
বাংলা হল এ দেশের মায়ের মুখের বুলি,
এ ভাষাতে গান গেয়ে যায় কত বুলবুলি।
জিন্না যখন ঘোষণা দেয় উর্দু হবে ভাষা,
বীর বাঙালি ছেড়ে দেয় জীবনের আশা।
লিয়াকত, খাজা যখন একই কথা কয়,
বাঙালির মনে তখন দুঃখনদী বয়।
কার্ফু ছিল ২০ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি,
রাজপথে নামলে তার রক্ত যাবে ঝরি।
তবুও কি দামাল ছেলে বিন্দু করে ভয়,
জীবন মায়া ত্যাগ করে রাজপথে যায়।
চুয়াল্লিশ ধারা ভাঙতে হবে, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই,
এ দেশে জন্ম মোদের জীবন গেলেও ক্ষতি নাই।
স্লোগান নিয়ে তারা রাজপথে যায় চলে,
ফিরে আসে না কো বাংলা মায়ের কোলে।
কার্ফু ভাঙার অপরাধে পুলিশ ছোড়ে গ্যাস,
হানাদারের বুলেট তাদের জীবন করে লাশ।
সেই গুলিতে শহিদ হল রফিক-শফিক ভাই,
সালাম, বরকত, জব্বারকে আমরা ভুলি নাই।
দিয়েছ রক্ত, দিয়েছ প্রাণ, রেখেছ ভাষার মান,
একাত্তরের বিজয়েও ভাই তোমাদের অবদান।
একুশ হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস,
সব দেশ তাই বাংলাকে বলে, ‘সাবাস সাবাস’।