একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচন নিয়ে ‘বিতর্ক করছে’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বলেছে, সংসদ নির্বাচন একটি জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাজনীতিবিদদের কাছে ক্ষমতা থাকবে। ক্ষমতার উৎস হচ্ছে জনগণ। জনগণের কাছে সেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দিলে রাজনৈতিক শক্তি বিকশিত হবে। সেই রাজনৈতিক শক্তির বিকাশের মধ্য দিয়ে যত নির্বাচন আছে, সেগুলো হবে। এটাই তো বিরাজনীতিকরণ। কিন্তু বিতর্ক নিয়ে এসেছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে, নাকি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগে। মাথা আগে নাকি লেজ আগে, এটা নির্ধারণ করতে হবে। নির্ধারণ করতে হবে কোনটা চালিত শক্তি। মাথা ঠিক থাকলে সবকিছু ঠিক থাকে।’
রিজভী বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের বিশ্বাস না করা, অর্থাৎ বিরাজনীতিকরণ। এই বিরাজনীতিকরণ করতে করতে গণতন্ত্রের আজ ভঙ্গুর অবস্থা। এটার মধ্য দিয়েই ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়েছে। রাজনৈতিক শক্তিকে যদি খাটো করেন তাহলে চরমপন্থার উত্থান হতে পারে। চরমপন্থা শুধু বাম দিক দিয়ে আসে না, ডান দিক দিয়েও আসে। এটা মাথায় রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচন আগে না-কি সংসদ নির্বাচন আগে এটা যারাই বলছে বা যাকে দিয়ে বলাচ্ছে এতে সামনে মধ্যপন্থা রাজনীতি বিপদে পড়তে যাচ্ছে কিনা-এটার একটা শঙ্কা আমরা টের পাচ্ছি।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন ব্যক্তি। তিনিও শেখ হাসিনা দ্বারা নির্যাতিত, তিনি ন্যায়সঙ্গত কাজ করবেন, তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি বিকশিত হবে। দেশে অনেক রাজনৈতিক দল আছে, রাজনীতিবিদ আছে-গণতান্ত্রিক পন্থায় তারা ক্ষমতায় আসবে, এই ব্যবস্থাটাই আগে করুক। যারাই ক্ষমতায় আসুক তাদের মাধ্যমেই দেশ চলবে এবং স্থানীয় নির্বাচন হবে। আরও অন্যান্য সংস্কার হবে।’
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে দলের স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, রংপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, সহপ্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।