ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে উপনির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের আগ্রহ কম ছিল বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপনির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, বিএম মোজাম্মেল হক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিৎ রায় নন্দী, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মোর্শেদ কামাল প্রমুখ।
দীপু মনি বলেন, ‘ঢাকা সিটি কর্পোরেশনসহ সারাদেশে যেভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে দেশের অগ্রগতি এবং উন্নয়নের পক্ষেই মানুষ থাকতে চায়। কাজেই আমরা বিশ্বাস করি জনগণ দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির লক্ষ্যে এবং একটি সুন্দর ঢাকা বিনির্মাণে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বেছে নেবেন। আমরা আশাবাদী আমাদের নৌকার প্রার্থীই বিজয়ী হবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, ‘দেখুন বিরোধী দল বলতে সংসদীয় গণতন্ত্র অনুযায়ী সংসদে যারা বিরোধী দল তারাই হলো প্রকৃত বিরোধী দল। সংসদের বিরোধী দল কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য সব প্রকার পরিবেশ বজায় থাকা সত্ত্বেও বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে চলেছে। বিএনপি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা একের পর এক এ সিদ্ধান্ত নিয়ে যাচ্ছে। তাতে কী উপকার হচ্ছে জানি না। তারা দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের জন্য বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে বার বার। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। জনগণ শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে এবং এ অগ্রযাত্রা অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, ‘এ মেয়র নির্বাচন হলো উপনির্বাচন। আসলে খুব কম সময়ের জন্য তারা নির্বাচিত হচ্ছেন। সে কারণে হয়তো ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ কিছুটা কম ছিল। এর আগেও কিন্তু সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তখন কিন্তু ভোটারদের সংখ্য ছিল চোখে পড়ার মতো। সব সময় যে ভোটারের উপস্থিতি বেশি থাকবে এমন নয়। অতীতেও কিন্তু এ ভোটার উপস্থিতি কম থাকার ইতিহাস রয়েছে। দেখা গেছে, যেখানে কাউন্সিলর প্রার্থীরা ছিলেন সেখানে কিন্তু ভোটারদের উপস্থিতি অনেক ছিল। যেখানে কাউন্সিলর প্রার্থী ছিল না সেখানে হয়তো কম ভোটার উপস্থিত হয়েছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতি অনাগ্রহ থাকলে জাতীয় নির্বাচনে এত ভোট পড়তো না।’