পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খানকে হত্যাচেষ্টার মামলা অবশেষে নথিভুক্ত করেছে দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ। মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে হেফাজতে নেওয়া এক আততায়ীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।গতকাল সোমবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট প্রাদেশিক সরকারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়ার পর পাঞ্জাব পুলিশ মামলাটি দায়ের করল। মামলার নথিতে আততায়ী নাভিদ মহম্মদ বশিরকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তবে মামলার কোথাও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ফয়সাল নাসিরের নাম উল্লেখ করা হয়নি, যদিও এঁদের বিরুদ্ধে ইমরান খান হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিলেন।
এদিকে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই বলেছে, তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সিনিয়র নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী জানিয়েছেন, তাঁরা এ মামলার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করতে সর্বোচ্চ আদালতে যাবেন।গত রোববার ইমরান খান বলেছিলেন, পাকিস্তানের একজন প্রধানমন্ত্রী হয়েও আমার ওপর হামলার ব্যাপারে মামলা নথিভুক্ত করতে না পারি, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে!পাঞ্জাব পুলিশ বলেছে, তারা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলা নথিভুক্ত করেছে এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৭ ধারা এবং পাকিস্তান পেনাল কোডের ৩০২,৩২৪ ও ৪৪০ ধারায় সন্দেহভাজন নাভিদকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।অভিযুক্ত বশিরকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করার কথাও জানিয়েছে পুলিশ। একটি স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিওতে বশির বলেছেন, তিনি ইমরান খানের ওপর হামলা করেছিলেন কারণ তিনি জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন।গত বৃহস্পতিবার ৭০ বছর বয়সী ইমরান খান পায়ে গুলিবিদ্ধ হোন। ওই দিন পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদ এলাকায় একটি সমাবেশে ট্রাকের ওপর আরও নেতা–কর্মীর সঙ্গে ছিলেন তিনি। তাঁকে লক্ষ্য করে দুজন বন্দুকধারী গুলি চালিয়েছিল। এ ঘটনার একদিন পরে লাহোরের একটি হাসপাতালে থেকে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ইমরান খান বলেন, ‘আমার পায়ে চারটি গুলি লেগেছে।’
নতুন করে নির্বাচনের দাবিতে পাকিস্তানের রাজধানী অভিমুখে পদযাত্রা করছিলেন ইমরান খান। তবে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সেই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা ফয়সাল জাভেদ খান বলেছেন, ‘আগামী ১০ নভেম্বর ওয়াজিরাবাদ থেকে আবারও পদযাত্রা শুরু হবে।’