বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কথা উল্লেখ করে ইতালীয় বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্টোনিও আলেসান্দ্রো আজ মঙ্গলবার বঙ্গভবনে তার পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বাসসকে বলেন, রাষ্ট্রপতি দেশটিকে বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নেওয়ারও আহ্বান জানান। তিনি ইতালির ‘লিগাল মাইগ্রেশন স্কিমে’র আওতায় বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে ইতালি সরকারের আগ্রহকে স্বাগত জানান।রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ইতালি বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য এবং গতবছর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ইতালির সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে ইতালি সরকারের চাপ অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। প্রেস সচিব জানান, নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও ইতালির সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। গত বছর দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক।
২০২৩ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত ফুড সিস্টেম সামিটে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ ও ২০২০ সালে ইতালিতে রাষ্ট্রীয় সফর দুদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, সম্প্রতি জ্বালানি ও সংস্কৃতি বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে দু’দেশের সম্পর্কে আরও গতিশীলতা এসেছে। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা, অভিবাসন, নিরাপত্তা, সাইবার নিরাপত্তা এসব ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে।ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, তার সরকার বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নকে খুবই গুরুত্ব দেয় এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে নতুন নতুন ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করবে।তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনশক্তি ইতালির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ইতালিতে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ইতালিতে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা খুবই সুশৃঙ্খল এবং তাদের মাঝে অপরাধ প্রবণতা খুবই কম।
তিনি বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রদূত তার নতুন দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।