আলোচিত সেভেন মার্ডারের নুর হোসেনের উত্তরসূরী দুই ভাইয়ের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
জেলা প্রতিনিধিঃ চাঁদাবাজিই যেনো তাদের পৈত্রিক ব্যবসা হয়ে দাড়িয়েছে।আর এই চাঁদাবাজির অবৈধ কালো টাকার জোরে এক ভাই হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য আরেক ভাই নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরী করে স্বপ্ন দেখছেন কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার। বলছিলাম চিহ্নিত চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া দুই গুণধর সহদর সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুর এলাকার নুরে আলম খান ও মাহাবুব খানের কথা। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে নুরে আলম খান একসময়কার নারায়ণগঞ্জের ত্রাস সেভেন মার্ডারের প্রধান আসামী সন্ত্রাসী নুর হোসেনের স্যালক।যার প্রভাবে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চল ও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রধান ফটক হিসেবে পরিচিত কাচঁপুর,সোনাপুর,নয়াবাড়ী,কুতুবপুর,বেহাকৈর,গঙ্গাপুর,কাজিপাড়া,ভারগাঁও,সাদিপুর,নয়াপুর,জামপুর,ললাটি ও পাশ্ববর্তী বন্দর উপজেলার মদনপুর,মুরাদপুর,ফুলহর,চানপুর,দেওয়ানবাগ ও চিটাগাংরোড সহ প্রায় ২০/৩০টি এলাকায় দুই ভাইয়ের সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরী করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে তুলেছে। এলাকাবাসী জানান,নুরে আলম খান ও মাহাবুব খানের কারণে নতুন করে কেউ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরী করতে পারেনা।কোন দোকান,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ী নির্মাণ করতে গেলেই মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে নুরে আলম খান ও মাহাবুব খানের ক্যাডার বাহিনী। এই দুই ভাইয়ের চাঁদাবাজির কারণে কাচঁপুর বিসিক এলাকায় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাচঁপুর হাইওয়ে থানার পাশেই সরকারী রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে বাস কাউন্টার বসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে নুরে আলম খানের বিরুদ্ধে। তাছারা কাচঁপুরের কতুবপুর এলাকার ব্যবসায়ী ইসমাইলকে কয়েক বছর আগে গুম করার পেছনেও নুরে আলম খান ও মাহাবুব খানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলো ইসমাঈলের পরিবার।মাহাবুব খান তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে স্থানীয় রহিম স্টিল কোম্পানিকে জিম্মি করে বছরের পর বছর যাবত লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। সোনারগাঁওয়ের সাবেক সাংসদ কায়সার হাসনাতের নাম বিক্রি করে এতো বছর যাবত রহিম স্টিলে চাঁদাবাজি করেও ক্ষান্ত না হয়ে সম্প্রতি চেয়ারম্যান নির্বাচন করার জন্য আরও লোক বল নিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরী করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে তুলেছে। এলাকাবাসী আরও জানান,সেভেন মার্ডারের আসামী নুরহোসেনের অবর্তমানে তার অস্ত্র ভান্ডার দিয়ে নুরহোসেনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে তার স্যালক নুরে আলম খান ও মাহাবুব খান। নুরে আলম খানের বাড়ীতে এবং গোপন আস্তানা হিসেবে পরিচিত কাচঁপুর হাইওয়ে থানার পাশে পাম্পের অফিসে এবং তার কয়েকটি গোপন ডেরায় অভিযান চালালে যেকোন সময় একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র অস্ত্র উদ্ধার করা যাবে। নুরহোসেনের অবৈধ অস্ত্র দিয়েই এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে যাচ্ছে নুরে আলম খান ও মাহাবুব খান। এমতাবস্থায় নুরে আলম খান ও মাহাবুব খানের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও চাঁদাবাজি বন্ধ করে এলাকার জান মালের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ মুক্ত দেশ গড়তে তাদের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে শীগ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও যথাযথ পুলিশ প্রশাসন ও দূদকের সুদৃষ্টি কামনা করছেন শান্তিপ্রিয় জনগণ।