লিওনেল মেসিকে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে গণ্য করা হয়। কাতার বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে অনবদ্য পারফরম্যান্সে তিনি শুধু আর্জেন্টিনাকে টিকিয়েই রাখলেন না, ম্যারাডোনার রেকর্ডও ছুঁয়ে ফেলেন মেসি। জালের দেখা পেয়ে কিংবদন্তির পাশে বসলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। বিশ্বকাপে মেসির এটি ২১তম ম্যাচ, ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ম্যারাডোনাও বিশ্ব মঞ্চে খেলেছিলেন ২১ ম্যাচ।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৬৪তম মিনিটে চমৎকার এক গোলে দলকে এগিয়ে নেন মেসি। এখানেই তিনি পাশে বসলেন ম্যারাডোনার।এ ছাড়া চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে খেলতে নেমেই বিশ্বকাপের পাঁচটি আসরে খেলার অনন্য কীর্তিতে নাম লেখান মেসি। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পাঁচটি বিশ্বকাপে খেলেছেন মেক্সিকোর সাবেক গোলরক্ষক অ্যান্তোনিও কারবাহাল, ডিফেন্ডার রাফায়েল মার্কেজ এবং জার্মানির মিডফিল্ডার লোথার ম্যাথিউস এবং পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।২০০৬ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলেছিলেন মেসি। এরপর ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৮। এবারের বিশ্বকাপটি তার পঞ্চম আসর। আর বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ২৫টি ম্যাচ খেলেছেন জার্মানির ম্যাথিউস। আর ৫টি ম্যাচ খেললেই ম্যাথাউসকে টপকে বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন মেসি। এই বিশ্ব রেকর্ড গড়তে হলে সেমিফাইনালে উঠতে হবে মেসির আর্জেন্টিনাকে। সেমি পর্যন্ত আরও ৪টি ম্যাচ খেলবেন মেসি। গ্রুপ পর্বে আরও একটি, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমি মিলিয়ে মোট ৪টি। সেমিতে হেরে গেলে তৃতীয়স্থান নির্ধারণীসহ ৫টি ম্যাচ হবে মেসির। আর ফাইনালে উঠলেও এই আসরে ৫টি ম্যাচ হয়ে যাবে মেসির। তাতেই বিশ্ব রেকর্ডের মালিক হবেন তিনি।বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি জয়ের স্বাদ পেয়েছেন জার্মানির সাবেক স্ট্রাইকার মিরোস্লাভ ক্লোসা। চারটি বিশ্বকাপে ১৭টি জয় আছে তার। বিশ্বকাপে মেসির জয় ১২টি।