অবশেষে এলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। স্থগিত হয়েছে বাংলাদেশের শ্রীলংকা সফর। সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রীলংকায় যাওয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিসিবি সভাপতি। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘অনেক সময় দিয়েছি। আর অপেক্ষা করার সুযোগ নেই। ওরা যদি পারতো, তাহলে এর মধ্যেই করতো। সুতরাং আপাতত আমরা শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত করলাম।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কা আমাদেরকে সফরের বিধি-নিষেধ নিয়ে একটি শর্ত পাঠিয়েছিল। সেটি আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি। ওদের জানানোর পর তারা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে। কিন্তু ওদের সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক। কিন্তু এই মুহূর্তে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থেকে সফর করা সম্ভব নয়। পরিস্থিতি যখন ভালো হবে, তখন আমরা নতুন করে সফর নিয়ে ভাববো।’ শ্রীলঙ্কা সিরিজকে সামনে রেখে ১৯ জুলাই থেকে ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলন শুরু করেন। অনিশ্চয়তা মাথায় নিয়েই ২০ সেপ্টেম্বর কোচদের অধীনে অনুশীলন শুরু করেন ক্রিকেটাররা। এরপর গত দুই দিন ক্রিকেটারদের ছুটি দেয় বিসিবি। হোটেলে আইসোলেশনে থাকলেও এই মুহূর্তে ক্রিকেটাররা যার যার বাসাতে চলে গেছেন। এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিসিবি বরাবর চিঠি পাঠায় লঙ্কান বোর্ড। সেই শর্ত অনুযায়ী শ্রীলঙ্কায় দল পাঠাতে ইচ্ছুক ছিল না বিসিবি। এরপর শ্রীলঙ্কা তাদের সরকারের সঙ্গে কথা বলে সিরিজটি আয়োজনের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের উদ্যোগ আর সফল হলো না। সূচি অনুযায়ী, গত ২৭ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা ছিল মুশফিক-মুমিনুলদের। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খানের কথায় আশাও দেখা দিচ্ছিল। কিন্তু সোমবার সে আশাও শেষ হয়ে গেলো বোর্ড প্রধানের কথায়। করোনা মহামারির মাঝে অন্য দেশগুলো যে প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে, শ্রীলঙ্কা সেখানে ব্যতিক্রম। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের যে শর্ত জুড়ে দিয়েছে তারা, তা এক কথায় অবাস্তব। দুই সপ্তাহ হোটেল রুমে বন্দি থাকতে হবে বাধ্যতামূলক। এই ১৪ দিনে হোটেলের মধ্যে যদি ক্রিকেটারদের জিম, সুইমিং পুলের ব্যবস্থায় আন্তরিক হতো লঙ্কানরা, তাহলে হয়তো সিরিজটি মাঠে গড়ানো সম্ভব হতো। এখন বিকল্প ভাবনা হিসেবে ঘরোয়া ক্রিকেট কত দ্রুত ফেরানো যায়, সেই ভাবনা ভাবছে বিসিবি।